মার্কিন গবেষকরা করোনা থেকে বাঁচার উপায় জানালেন

মার্কিন গবেষকরা করোনা থেকে বাঁচার উপায় জানালেন

করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হলে তা ঠেকানোর সবচেয়ে ভালো উপায়। হচে্ছ কোয়ারেন্টিনে রাখা, স্কুল বন্ধ এবং বাড়িতে থেকে অফিসের কাজ করা ।দ্য ল্যানসেট ইনফেকটিয়াস ডিজিস তাদের নতুন গবেষণার পর ধরনের পরামর্শ দিয়েছে।

যুক্তরাষ্ট্রের বিভিন্ন শহর এবং  রাজ্যে পরামর্শ মেনে চলা হচ্ছে। এমনকি আজ বুধবার সকাল থেকে যুক্তরাষ্ট্রের ১৭টি রাজ্যে সবাইকে বাড়িতে অবস্থানের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। তার মধ্যে তিনটি রাজ্যে একেবারে জরুরি প্রয়োজন ছাড়া বাণিজ্যিক প্রতিষ্ঠান বন্ধ করে দিতে বলা হয়েছে, স্কুল বন্ধ করে দেওয়া এবং নাগরিকদের ঘরে থাকার নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।

যুক্তরাষ্ট্রের ইমোরি ইউনিভার্সিটির সংক্রামক রোগ বিশেষজ্ঞ এবং সংক্রামক রোগত্ত্ত্ব বিভাগের প্রধান কার্লোস ডেল রিও বলেন, করোনাভাইরাস ছড়িয়ে যাওয়ার ব্যাপারে আমরা তিনমাস ধরে পর্যবেক্ষণ চালিয়েছি। সামাজিকভাবে দূরত্ব বজায় রাখার বিকল্প নেই।

করোনার প্রাদুর্ভাব শুরুর সময়ই দেশব্যাপী সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখলে এটি ছড়িয়ে যাওয়া কমানো সম্ভব ছিল বলেও মনে করেন তিনি। মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প বলেছেন, আমরা সবাই সামাজিকভাবে দূরত্ব বজায় রাখবো এবং তারপরই অতি প্রয়োজনীয় কাজ করবো।

বিশেষজ্ঞরা বলছেন, এটি এতো সহজ অঙ্ক নয়। ১২ এপ্রিল ইস্টার। ট্রাম্প যদি ওই অনুষ্ঠান পালন করতে চান, তার আগ পর্যন্ত জাতীয়ভাবে সবাইকে ঘরে অবস্থান করতে হবে। হাজার হাজার মানুষের মৃত্যু এড়াতে আরো অনেক বেশি সংখ্যক মানুষকে পরীক্ষা করে দেখা দরকার। কারণ, করোনা শনাক্ত করা গেলে তাকে কোয়ারেন্টিনে রেখে এটি ছড়িয়ে পড়া ঠেকানো সম্ভব।

নতুন এই গবেষণায় দেখা হয়েছে, কিভাবে সবাই সামাজিকভাবে দূরত্ব বজায় রাখবে। গবেষকরা বলছেন, সামাজিকভাবে দূরত্ব বজায় না রাখলে পরিস্থিতি ভয়াবহ হবে।

কর্মক্ষেত্রে দূরত্ব বজায় রাখার ফল

এটি তিনভাবে দেখা হয়েছে-আক্রান্ত ব্যক্তিকে কোয়ারেন্টিনে রেখে এবং তাদের পরিবারের সদস্যদের সেল্ফ-কোয়ারেন্টিনে রেখে; কোয়ারেন্টিনের সঙ্গে স্কুল বন্ধ, তৃতীয়ধাপে কর্মক্ষেত্রও বন্ধ করে।

এতে দেখা গেছে, কোয়ারেন্টিনের পাশাপাশি স্কুল কর্মক্ষেত্র বন্ধ রাখার ফলে ভাইরাস ছড়ানোর হার কম। অর্থাৎ সামাজিকভাবে যতটা বিচ্ছিন্ন, করোনা ছড়ানোর হার ততটাই কম। তবে ভাইরাসটি কিভাবে ছড়িয়ে পড়ে, তা এখনো অজানা।

 গবেষকদের পরামর্শ, করোনাভাইরাস থেকে বাঁচতে হলে অন্তত এক মাসের জন্য সামাজিকভাবে নিজেকে সরিয়ে নিয়ে বাড়িতে অবস্থান করা। সময় বাইরে যেমন বের হওয়া যাবে না, তেমনি অন্য কাউকে ভেতরেও প্রবেশ করতে দেওয়া যাবে না।