সাকিব আল হাসানের জরিমানা

সাকিব আল হাসানের  জরিমানা

সিলেটে প্রথম টি-টোয়েন্টিতে ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে ব্যাটিং বিপর্যয়ের কারণে হেরেছে টাইগাররা। ওই ম্যাচে সাকিব সর্বোচ্চ ৬১ রান করেছিল। তবে সিরিজের প্রথম ম্যাচে হারের ক্ষত না শুকাতেই টাইগার পেলেন আরেক দুঃসংবাদ। আইসিসি তাকে আম্পায়ারের সিদ্ধান্তে দ্বিমত পোষণ করার জন্য ম্যাচ ফির ১৫ শতাংশ জরিমানা করেছে। 

প্রথম টি-টোয়েন্টিতে ইনিংসের ১৪তম ওভারের শেষ বলে এই ঘটনা ঘটেছে। ক্যারিবীয় বোলার ওশান থমাসের স্লোয়ার বাউন্সারটা পুল করতে চেয়েছিলেন টাইগার অলরাউন্ডার। কিন্তু ব্যাটে-বলে হয়নি, লেগ স্টাম্পের বাইরে দিয়ে সেটি চলে যায় উইকেট কিপারের কাছে। তখন সাকিব দাবি করেন, এটা ওয়াইড। আম্পায়ারদের যুক্তি, বলটা তার জার্সি ছুঁয়ে গেছে। ওয়াইড না দেয়ায় বেশ ক্ষুব্ধ হন তিনি। চিৎকার করে জানতে চায় কেন ওয়াইড দেয়া হলো না। পরে খানিকক্ষণ তর্ক করেন তিনি। এমন আচরণে অভিযোগ তুলেছেন অনফিল্ড দুই আম্পায়ার সৈকত সরফদৌলা ও তানভীর আহমেদ, তৃতীয় আম্পায়ার মাসুদুর রহমান এবং চতুর্থ আম্পায়ার গাজী সোহেল। ম্যাচ রেফারি জেফ ক্রোর কাছে সাকিব তার ভুল স্বীকার করে নিলে আনুষ্ঠানিকভাবে শুনানির প্রয়োজন হয়নি। আইসিসির লেভেল-১ আচরণবিধি ভঙ্গের দায়ে সাকিবকে ম্যাচ ফির ১৫ শতাংশ ও ১ ডিমেরিট পয়েন্ট জরিমানা করা হয়েছে। ২০১৬ সালের সেপ্টেম্বরে ডিমেরিট সিস্টেম চালু হওয়ার পর এটি বিশ্বসেরা অলরাউন্ডারের দ্বিতীয় অপরাধ। ২৪ মাসের মধ্যে মোট চারটি ডিমেরিট পয়েন্ট পেলে সেটা সাসপেনশন পয়েন্ট হয়ে যাবে। তাতে নিষেধাজ্ঞায় পড়বেন সাকিব। ক্রিকেটে সাকিব এতটাই আবেগি যে, নিজের রাগ নিয়ন্ত্রণ করতে পারেন না। টি-টোয়েন্টি অধিনায়ক সাকিব আল হাসান চলতি বছর এ নিয়ে ২টি ডিমেরিট পয়েন্ট পেলেন। আগেরটি পেয়েছিলেন গত মার্চে শ্রীলঙ্কায় অনুষ্ঠিত নিদাহাস ট্রফিতে লঙ্কানদের বিপক্ষে সেই আগুনে ম্যাচে।