ভারতের ১ নাম্বার ধনী 'মুকেশ আম্বানি' পৃথিবীর দামি যে ১০ টি জিনিসের মালিক

ভারতের ১ নাম্বার ধনী 'মুকেশ আম্বানি' পৃথিবীর দামি যে ১০ টি জিনিসের মালিক

এক দশক হয়ে গেল ভারতের সবচেয়ে ধনবান ব্যক্তির শিরোপা মাথায় উঠেছে মুকেশ আম্বানির। সম্প্রতি চিনের ব্যবসায়ী ধনকুবের হুই কা ইয়ানকে ঐশ্বর্যে পিছনে ফেলে দিয়েছেন তিনি। মুকেশ এখন এশিয়ান সবচেয়ে ধনী ব্যক্তি। ফোর্বসের তালিকায় সারা বিশ্বে ধনকুবের ব্যক্তিদের মধ্য বড় আম্বানির অবস্থান চোদ্দতম স্থানে। মুকেশ আম্বানির সম্পদের পরিমাণ পাঁচ হাজার কোটি টাকারও বেশি।

ধনকুবের হলে একটা ব্যাপার কিন্তু এসেই যায়, আর সেটা হলো নিজের সব ইচ্ছেগুলো রাজকীয়ভাবে পূরণ করা। আর সেই সুবাদে মুকেশ আম্বানি এমন এগারোটি জিনিসের মালিক, যা পৃথিবীর অন্যতম দামি জিনিসগুলির মধ্যে এক একটি।

 

একবার দেখুন সেগুলি –

 

১১.  রোল-রয়াস ফ্যান্টম

আট কোটি টাকা খরচ করতে হয়েছে মুকেশ আম্বানিকে এই গাড়িটির জন্য। লাগজারি সেডান ক্যাটাগরির এই গাড়িটি ৫.৮ সেকেন্ডে শূন্য থেকে ১০০ কিমি গতিবেগ তুলতে পারে। সর্বোচ্চ গতিবেগ ঘণ্টায় ২৪৯ কিমি।

 

১০. বিএমডব্লু৭৬০এলআই

গাড়িটির দাম ভারতীয় মুদ্রায় সাড়ে আট কোটির মতো। জেড ক্যাটাগরির নিরাপত্তার সমস্ত বন্দোবস্ত রয়েছে বুলেট প্রুফ সুবিধা দেওয়া গাড়িটিতে। যেহেতু অস্ত্রশস্ত্র সজ্জিত গাড়ির রেজিস্ট্রেশন ফি বেশি, তাই মুম্বইতে গাড়িটি রেজিস্ট্রেশন করাতে ১.৬ কোটি টাকা অতিরিক্ত খরচ করেছেন মুকেশ। ভারতে কোনও ব্যক্তির দেওয়ার সবচেয়ে বেশি রেজিস্ট্রেশন ফি এটা।

 

৯. মার্সিজিড এসএল৫০০

এই গাড়িটি বম্ব ও বুলেট প্রুফ। দাম এক লক্ষ মার্কিন ডলার। গাড়িটিতে ৬২১ হর্স পাওয়ারের টার্বো চার্জড ৬এল ইঞ্জিন রয়েছে। এছাড়া ৭ স্পিড অটোমেটিক ট্রান্সমিশনেরও সুবিধা রয়েছে।

 

৮. মার্সিডিজ এস ক্লাস

দেড় লক্ষ মার্কিন ডলার মূল্যের গাড়িটি পুরোপুরি বুলেট প্রুফ। ভেতরে ল্যাপটপ, টিভি স্ক্রিন ও অনবোর্ড কনফারেন্স সেন্টার রয়েছে। মাত্র ৩.৯ সেকেন্ড গাড়িটি শূন্য থেকে ৬০ কিমি গতিবেগে পৌঁছতে পারে।

 

৭. অ্যাস্টন মার্টিন ব়্যাপিড

গাড়িটির দাম এক লক্ষ ৭০ হাজার মার্কিন ডলার। ৪.৪ সেকেন্ড শূন্য থেকে ৬০ কিলোমিটার গতিবেগে পৌঁছে যায় এর ইঞ্জিন। সর্বোচ্চ গতিবেগ ঘণ্টায় ২০৩ মাইল।

 

৬. মেবাক ৬২

গাড়িটির দাম ১০ লক্ষ মার্কিন ডলার। স্ত্রী নিতাকে জন্মদিনের উপহার হিসেবে দিয়েছিলেন মুকেশ। ঘণ্টায় সর্বোচ্চ ২৫০ কিমি বেগে ছুটতে পারে গাড়িটি। মাত্র ৫.৪ সেকেন্ডে শূন্য থেকে ১০০ কিমি গতিবেগে পৌঁছতে সক্ষম মেবাক ৬২।

 

৫. ফ্যালকন ৯০০ইএক্স

বিমানটিতে ছোটোখাটো অফিস রয়েছে। যাওয়ার পথে প্রয়োজন পড়লে জরুরি মিটিং সারেন সেখানে মুকেশ আম্বানি। কেবিনটি বিলাসবহুল। ভিডিও গেম খেলার যাবতীয় ব্যবস্থা, মিউজিক সিস্টেম, স্যাটেলাইট টেলিভিশন এবং ওয়ারলেস কমিউনিকেশনের সুবিধাযুক্ত বিমানটির দাম চার কোটি ৩৩ লক্ষ মার্কিন ডলার।

 

৪. বোয়িং বিজনেস জেট ২

গত এগারো বছরের ওপর ধরে বিমানটি ব্যবহার করছেন মুকেশ। জেট বিমানটিতে ১০০৪ স্কোয়ারফিটের কেবিন রয়েছে। আর তাতে ৭৮জন যাত্রী একসঙ্গে যেতে পারেন। ভেতরে আবার হোটেল ও সুইটের বন্দোবস্ত রয়েছে। বিমানটি কিনতে সাত কোটি ৩০ লক্ষ মার্কিন ডলার খরচ করেছেন আম্বানি।

 

৩. এয়ারবাস ৩১৯ কর্পোরেট জেট

মুকেশ আম্বানির কর্পোরেট জেট বিমানটিতে ২৫জন যাত্রী যেতে পারেন। ভেতরে বিনোদনের জন্য আলাদা করে কেবিন রয়েছে। এয়ারবাসটির দাম দশ কোটি মার্কিন ডলার।

 

২. ইয়াচ

সমুদ্রে সময় কাটানোর জন্য ইয়াচ কিনে রেখেছেন আম্বানি। ৫৮ মিটার লম্বা ও ৩৮ মিটার চওড়া এই জলজাহাজের ছাদ পুরোপুরি সোলার গ্লাস দিয়ে তৈরি। ভেতরে রয়্যাল সুইট, পিয়ানোবারসহ ডাইনিং রয়েছে নৈশভোজ দেওয়ার জন্য। এছাড়া, তিনটি ডেক রয়েছে ইয়াচটিতে। দাম ১০ কোটি মার্কিন ডলারেরও বেশি।

 

১. অ্যান্টিলা

মুকেশ আম্বানির বিলাসবহুল বাড়িটির দাম একশো কোটি মার্কিন ডলার। দামের দিক থেকে এটি পৃথিবীর দ্বিতীয় বসবাসযোগ্য স্থান বাকিংহাম প্যালেসের পরেই। মুম্বইয়ের কাম্বালা হিলে আল্টামন্ট রোডে সাতাশ তলা এই বাড়িটিতে ৬শো জন কর্মচারি থাকেন রিয়ায়েন্স ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেডের। বাড়িতে ৫০ আসন বিশিষ্ট একটি সিনেমা হলের পাশাপাশি ছাদে হেলিপ্যাড রয়েছে। এছাড়া, আরও অনেক শৌখিন জীবনাপনের বন্দোবস্তও আছে।