হাত-পা ঘেমে সৃষ্টি হয়েছে দুর্গন্ধ, কি করনীয়?

হাত-পা ঘেমে সৃষ্টি হয়েছে দুর্গন্ধ, কি করনীয়?

গরমের প্রচণ্ড তাপদাহে কিংবা শারীরিক খাটাখাটনিতে শরীরে ঘাম হয়, এটাই স্বাভাবিক। ঘাম শরীরের তাপমাত্রা নিয়ন্ত্রণ করে। তবে সাধারণত ব্যায়াম, গরম আবহাওয়া, ভয় বা রাগের কারণে শরীর ঘামার প্রবণতা বেড়ে যেতে পারে।

অতিরিক্ত ঘাম কোনো জটিল সমস্যা নয়। তবে এতে বিপত্তিটা হয় তখন যখন অতিরিক্ত ঘামের কারনে হাতের তালু, পায়ের পাতা কিংবা বগল ঘেমে থাকে। কারো কারো শীতকালে,আবার কারো অতিরিক্ত দুশ্চিন্তার সময় হাত-পা ঘামে। এছাড়াও আরো বিব্রতকর পরিস্থিতিতে পড়তে হয় যখন পা ঘেমে যাওয়ার কারণে সৃষ্টি হয় দুর্গন্ধ। চিকিৎসা বিজ্ঞানে এর নির্দিষ্ট কোনো চিকিৎসা নেই তবে কিছু নিয়মের মধ্যে আসলে বিপত্তিকর পরিস্থিতি থেকে আপনি রক্ষা পেতে পারেন।

হাত-পা ঘামা যদিও কোনো রোগ নয়। তবে বংশগতভাবে থাকা শারীরিক কিছু সমস্যা, শরীরের ভেতরের ভারসাম্যহীনতা, মানসিক চাপ, দুশ্চিন্তা প্রভৃতি কারণে হতে পারে। হাত-পা ঘামার প্রাথমিক কারণ হিসেবে তেমন কিছু পাওয়া যায়নি। তবে অতিরিক্ত স্নায়বিক উত্তেজনার কারণেও ঘাম হয়ে থাকে।

এ ছাড়া আরও নানা কারণে হাত-পা ঘেমে থাকে। যেমন পারকিনসন্স ডিজিজ, থাইরয়েডে সমস্যা, ডায়বেটিস, জ্বর, শরীরে গ্লুকোজের স্বল্পতা, মেনোপোজেজ প্রভৃতি। অনেক সময় শরীরে ভিটামিনের অভাব থাকলে হাত-পা অতিরিক্ত ঘামতে পারে।

কিছু নিয়ম মেনে চললেই আপনার হাত-পা ঘামা রোধ করা সম্ভবঃ

১। পা সবসময় পরিষ্কার রাখুন।

২। বাইরে থেকে এসেই পা ধুয়ে ফেলুন। এক্ষেত্রে শ্যাম্পু ব্যবহার করতে পারেন। পা ধোয়ার পর শুকনো তোয়ালে দিয়ে পা মুছে ফেলুন।

৩। মোজা প্রতিদিন ধুয়ে দিন। ধোয়ার পর ভালো মতো শুকিয়ে তারপর ব্যবহার করুন।

৪। নিয়মিত জুতা পরিষ্কার রাখুন।

৫। চাইলে জুতায় মাঝে মধ্যে পাউডার দিয়ে রাখতে পারেন।

৬। মাঝে মধ্যে জুতা রোদে দিয়ে ভালোভাবে শুকিয়ে নিন।সম্ভব হলে কয়েক জোড়া জুতা এবং মোজা ব্যবহার করুন।

৭। আজকাল বানিজ্যিকভিত্তিতে কিছু পায়ের দূর্গন্ধ নিরোধক পাউডার পাওয়া যায়, এগুলো ব্যবহার করতে পারেন।

৮। সুতি মোজা ব্যবহার করলে ভালো কারণ সুতি মোজা ঘাম শুষে নেয়।

৯। বাজারে ঘাম শুষে নেয় এমন জুতাও পাওয়া যায়। চাইলে এমন জুতা ব্যবহার করুন।

এজন্য কোন ওষুধ খাবার দরকার হয়না।তবে যদি শীত-গ্রীষ্ম যেকোন ঋতুতে হাত-পা ঘামতে থাকে তাহলে হরমোন বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নিতে হবে।