গত শৈত্যপ্রবাহের চেয়েও ভায়াবভহ রকমের ঠাণ্ডা হবে। গত ৩০ বছরের গড় তাপমাত্রা অপেক্ষা ৫ থেকে ১০ ডিগ্রী সেন্টিগ্রেড কম থাকবে। জেনে নিন কবে থেকে

গত শৈত্যপ্রবাহের চেয়েও ভায়াবভহ রকমের ঠাণ্ডা হবে। গত ৩০ বছরের গড় তাপমাত্রা অপেক্ষা ৫ থেকে ১০ ডিগ্রী সেন্টিগ্রেড কম থাকবে। জেনে নিন কবে থেকে

জানুয়ারির মাসের ২৫ থেকে ৩১ তারিখ পর্যন্ত ভয়ংকর শৈত্যপ্রবাহ বাংলাদেশের উপর দিয়ে বয়ে যেতে পারে। আমেরিকার আবহাওয়া পূর্বাভাষ মডেল Global Forecast System (GFS) পূর্বাভাষ মতে আগামী ২৫ তারিখের পর থেকে একটি শৈত্যপ্রবাহ পঞ্চগড়-দিনাজপুর জেলার উপর দিয়ে বাংলাদেশে প্রবেশ করা শুরু করবে। ২৭ তারিখ থেকে ২৯ তারিখ পর্যন্ত পুরো দেশে প্রচণ্ড ঠাণ্ডা আবহাওয়া বিরাজ করবে।

আবহাওয়া পূর্বাভাষ যদি সঠিক হয়ে থাকে তবে এই শৈত্যপ্রবাহ গত শৈত্যপ্রবাহের চেয়েও ভায়াবভহ রকমের ঠাণ্ডা হবে। বিশেষ করে পঞ্চগড়-দিনাজপুর-নীলফামারী জেলায় প্রচণ্ড ঠাণ্ডা পরবে ও রাত ও সকাল বেলার তাপমাত্রা বছরের একই সময়ের গত ৩০ বছরের (১৯৮১ থেকে ২০১০ সাল) গড় তাপমাত্রা অপেক্ষা ৫ থেকে ১০ ডিগ্রী সেন্টিগ্রেড কম থাকবে।

পার্বত্য চট্টগ্রাম অঞ্চলের জেলা গুলোতে জানুয়ারি মাসের ৩০ ও ৩১ তারিখে তাপমাত্রা (বিশেষ করে কক্সবাজার, বান্দরবন জেলায় রাতের তাপমাত্রা ৫ ডিগ্রী সেন্টিগ্রেডে চলে আসতে পারে)।

উত্তরাঞ্চলের জেলা গুলোতে কর্মরত প্রশাসনের কর্মকর্তা ও বিভিন্ন সেচ্ছেসেবক প্রতিষ্ঠান গুলোর প্রতি অনুরোধ পূর্ব-প্রস্তুতি নিয়ে রাখেন এখন থেকে যাতে করে শীত চলে যাওয়ার পরে সরকারি কম্বল বা শীত বস্ত্রগুলো বিতরণ করতে না হয়। সম্ভব হলে ২৪ তারিখের মধ্যেই শীত বস্ত্রগুলো বিতরণ করে ফেলুন।

৫ ও ৬ নম্বর চিত্র: ৫০০ মিলিবার উচ্চতায় Geopotential Height Anomaly map, ৫ ও ৬ নম্বর চিত্রের নীল রং নির্দেশ করতেছে স্বাভাবিকের চেয়ে ঠাণ্ডা বাতাসের উপস্থিতি; পক্ষান্তরে বাদামি-লাল রং নির্দেশ করতেছে স্বাভাবিকের চেয়ে গরম বাতাসের উপস্থিতি। ৫০০ মিলিবার উচ্চতায় বাতাস পশ্চিম দিক থেকে পূর্ব দিকে প্রবাহিত হয়ে থাকে।

জানুয়ারি মসের ২৭ তারিখে গরম বাতাস পাকিস্তানের উপর অবস্থান করবে ও ধীরে-ধীরে বাংলাদেশের দিকে অগ্রসর হতে থাকবে। ফেব্রুয়ারি মাসের ১ তারিখ থেকে বাংলাদেশে প্রবেশ করা শুরু করবে ঐ গরম বাতাস ফলে দেশের তাপমাত্রা বৃদ্ধি পাওয়া শুরু করবে। লিখেছেন- মোস্তফা কামাল পলাশ