সংগীতশিল্পী শাম্মী আক্তার না ফেরার দেশে

সংগীতশিল্পী শাম্মী আক্তার না ফেরার দেশে

বরেণ্য সংগীতশিল্পী শাম্মী আক্তার আর নেই। (ইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন)। আজ মঙ্গলবার বিকেলে তিনি শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন। তার বয়স হয়েছিল ৬২ বছর।

তার স্বামী সংগীতশিল্পী আকরামুল ইসলাম গণমাধ্যমকে জানান, ‘শাম্মী আক্তার ছয় বছর ধরে ব্রেস্ট ক্যানসারে ভুগছিলেন। শাম্মী আক্তার বাসায়ই ছিলেন। ১৬ জানুয়ারি দুপুরে বেশি অসুস্থ হয়ে পড়ায় বারডেম হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হচ্ছিল। তবে হাসপাতালে পৌঁছানোর আগেই বিকেল ৪টার দিকে তিনি শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন।’

শাম্মী আক্তার স্বামী, এক ছেলেসহ আত্মীয়স্বজন ও অসংখ্য শুভাকাঙ্ক্ষী রেখে গেছেন।

পারিবারিক সূত্রে জানা গেছে, আগামীকাল বুধবার জোহরের নামাজের পর শান্তিনগর আমিনবাগ জামে মসজিদে শাম্মী আক্তারের জানাজা অনুষ্ঠিত হবে। এরপর তাঁকে শাহজাহানপুর কবরস্থানে দাফন করা হবে।

দীর্ঘ ছয় বছর ধরেই ক্যান্সারের সঙ্গে যুদ্ধ করছিলেন তিনি। গত বছর তার চিকিৎসার জন্য প্রধানমন্ত্রীর ত্রাণ তহবিল থেকে ৫ লাখ টাকা প্রদান করা হয়েছিলো। শেষরক্ষা হলো না কিছুতেই। সংগীতাঙ্গনকে শোকের সমুদ্রে ভাসিয়ে চলে গেলেন এই গানের পাখি, আর না ফেরার দেশে।

ব্যক্তিজীবনে ১৯৭৭ সালের ২২ ফ্রেব্রুয়ারি আকরামুল ইসলামের সঙ্গে বিয়েবন্ধনে আবদ্ধ হন শাম্মী আক্তার। তাদের দুই সন্তান কমল ও সাজিয়া। শেষ বয়সে দুই নাতি আর্শ ও আরিবের সঙ্গেই সময় কাটতো শাম্মী আক্তারের।

সংগীতে জাতীয় পুরস্কার পাওয়া শত শত গানের শিল্পী শাম্মী আক্তার ১৯৭০ সালের দিকে বেতারে গান গেয়ে জন সম্মুখে আত্ম প্রকাশ করেন । এরপর ১৯৮০ সাল থেকে চলচ্চিত্রে কণ্ঠ দান করা শুরু করেন। ক্যানসারে আক্রান্ত হওয়ার পর অন্তরালে চলে যাওয়ার আগ পর্যন্ত শাম্মী আক্তার চলচ্চিত্রে প্রায় তিনশ গান গেয়েছেন ।

২০১০ সালে ‘ভালবাসলেই ঘর বাঁধা যায় না’ চলচ্চিত্রে গানের জন্যে শ্রেষ্ঠ সংগীতশিল্পী হিসেবে তিনি জাতীয় পুরস্কার লাভ করেন ।