স্মার্ট পেশা হিসেবে 'পাঠাও' বেছে নিয়েছেন শতাধিক তরুণ

স্মার্ট পেশা হিসেবে 'পাঠাও' বেছে নিয়েছেন শতাধিক তরুণ

ব্যতিক্রমী সেবা পাঠাও’র যাত্রা শুরু হয় ২০১৫ সালের মার্চ মাসে। তখন ভাবনা ছিল ডেলিভারি প্রতিষ্ঠান হিসেবে কাজ করা। সে উদ্দেশ্যে পাঠাও রাইডস নামে অ্যাপভিত্তিক ডিজিটাল পরিবহন ব্যবস্থাও শুরু করে প্রতিষ্ঠানটি। মোটরবাইকের মাধ্যমে পরিবহন সেবাদানে অনেক দ্রুতই জনপ্রিয়তা অর্জন করে পাঠাও। অল্প খরচে রাজধানীর জ্যাম ডিঙিয়ে সবচেয়ে দ্রুত সময়ে যাত্রীকে তার গন্তব্যে পৌঁছে দেয়ার মাধ্যমে আমাদের দৈনন্দিন জীবনযাত্রাকে সহজ করে তোলার পাশাপাশি অনেক মানুষের কর্মসংস্থানের সুযোগ করে দিয়েছে পাঠাও। পাঠাওয়ের মাধ্যমে বাইকাররা যেমন খণ্ডকালীন কাজ করতে পারছেন তেমনি পারছেন পূর্ণকালীন সময় দিতে।

পাঠাওয়ে কাজ করার অভিজ্ঞতা নিয়ে কথা হয় পাঠাওয়ের সঙ্গে সদ্য যুক্ত হওয়া রায়হানের সঙ্গে। রায়হান পাঠাওতে কাজ করছেন রাইডার হিসেবে। পাঠাও’র অন্য অনেক রাইডারদের মতো সেও গ্রাজুয়েট। অনেক চেষ্টার পরেও নিজের পছন্দসই চাকরি খুঁজে না পেয়ে দিনে দিনে তিনি নিজের ওপর আত্মবিশ্বাস হারাতে থাকে। তিনি অনেকদিন ধরেই মোটরসাইকেল চালাচ্ছেন এবং মোটরসাইকেল চালানো তার অসম্ভব প্রিয় একটা কাজ। কিন্তু তিনি কখনও ভাবেননি তার এই দক্ষতাই নিজের জীবন পরিবর্তন অনেক বড় ভূমিকা রাখবে। সম্প্রতি ফেসবুকে একটি বিজ্ঞাপন দেখে তিনি পাঠাওতে ফ্রিল্যান্সার হিসেবে আবেদন করেন। এর কিছুদিনের মধ্যেই পাঠাওতে ফ্রিল্যান্সার হিসেবে কাজ শুরু করেন রায়হান। এখন তিনি তার সুবিধামতো সময়ে কাজ করতে পারছেন। আয়ও করছেন বেশ ভালো। এ নিয়ে রায়হান বলেন, ‘এখানে আমি আমার সুবিধামতো সময়ে কাজ করছি। এটা কোনো প্রথাগত চাকরি নয়, এখানে কোনো বস নেই, যার ওপরে নির্ভর করবে আমার সবকিছু।’ পাঠাওতে শুধু রায়হানই নয়, কাজ করছেন রায়হানের মতো আরও ৫০০শ’র বেশি রাইডার। এদের প্রায় কারোরই আগে ধারণা ছিল না যে, মোটরবাইক চালানোর দক্ষতাই তাদের কর্মসংস্থানের সুযোগ করে দিবে।

এ নিয়ে পাঠাও’র প্রধান নির্বাহী হোসাইন এম ইলিয়াস বলেন, ‘পাঠাও’র শুরু হয়েছিল তিন জন নিয়ে যার মধ্যে একজন ছিলাম আমি নিজে। এখন পাঠাও’র সঙ্গে ৫০০শ’র বেশি মানুষ কাজ করছে। আমাদের শুরুটা হয়েছিল একটা স্বপ্ন নিয়ে। আমরা চেয়েছি চারপাশের মানুষের জন্য কাজ করতে, তাদের জীবনকে সহজ করে তুলতে। আর এখন এর পাশাপাশি, আমরা দেশের অর্থনীতিতেও ভূমিকা রাখতে পারছি, মানুষের কর্মসংস্থানের সুযোগ করে দিতে পারছি এটা আমাদের জন্য অত্যন্ত আনন্দের। আমরা গর্বিত এমন একটা ভূমিকায় কাজ করতে পেরে।

তিনি আরও বলেন, ‘ঢাকায় অনেক মোটরসাইকেল ব্যবহারকারী রয়েছেন। যারা একইসঙ্গে নিজেদের আয়ের পাশাপাশি, অন্যের জীবনকে অনেকখানি সহজ করে দিতে পারেন। অবসর সময়ে যা কিছু হাত খরচের জোগানও দিবে।’

 

স্বল্প সময়েই গ্রাহকদের মাঝে অত্যন্ত জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে পাঠাও’র সেবা। সাধারণ মানুষ বেশ ভালোভাবেই নিয়েছে পাঠাও-কে। আর পাশাপাশি অনেকেই কর্মসংস্থানের সুযোগও পাচ্ছেন। পাঠাও এখন প্রতিদিনই অসংখ্য পরিবহণ সম্পন্ন করছে। যেভাবে পাঠাও-এর জনপ্রিয়তা বৃদ্ধি পাচ্ছে, তাতে পাঠাও শিগগিরই সহস্রাধিক নিবন্ধিত বাইকারের প্রতিষ্ঠানে পরিণত হবে। এর পাশাপাশি, বাংলাদেশ ডিজিটালকরণে ২০২১ সালের আমাদের যে রূপকল্প রয়েছে সেদিকেও দেশকে এগিয়ে নিয়ে যেতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখছে পাঠাও, এর ডিজিটাল বাহন ব্যবস্থার মাধ্যমে।

স্মার্ট পেশা হিসেবে স্বতঃস্ফূর্তভাবে অনেকেই পাঠাওতে যোগ দিচ্ছেন এ পেশার স্বাধীনতার কারণে। পাঠাও যেহেতু একটি অ্যাপভিত্তিক ফ্রিল্যান্সার সেবা তাই শিক্ষার্থী ও কর্মজীবী যে কেউ স্মার্টফোন ও নিজের মোটরবাইকের মাধ্যমে পাঠাও’র সঙ্গে কাজ করতে পারেন এবং আয় করতে পারেন মোট ভাড়ার ৮০ শতাংশ। একজন রাইডার নিয়মিতভিত্তিতে পাঠাওতে বাইক চালানোর মাধ্যমে মাসে সহজেই ২৫ হাজার টাকা আয়ের সুযোগ করে নিতে পারেন।

এ ক্ষেত্রে, আগ্রহী যে কেউ পাঠাওয়ে যোগদানের ক্ষেত্রে এর ওয়েবসাইট  pathao অথবা ফেসবুক পেজ  এ গিয়ে বিস্তারিত জানতে পারবেন।