শেষ বয়সে একটি ভাতাকার্ডের প্রত্যাশা

শেষ বয়সে একটি ভাতাকার্ডের প্রত্যাশা

শরীল আর চলে না বাহে। ট্যাকা-পসার অভাবে অসুক হলেও অসুধ কিনে খাতে পাম না। বেটাগুলার সংসার চলে না। মোর একনা ভাতা কাট করি দেও বাহে। তোমার বেটা-বেটির জন্নে আল্লার কাছে দোয়া করিম।

এভাবেই বয়সের ভারে নুয়েপড়া আমেনা বেওয়া কান্নাজড়িত কণ্ঠে এ প্রতিবেদকের কাছে আকুতি জানান একটা বয়স্কভাতার কার্ডের জন্য। আমেনা বেওয়ার বয়স ১০৭ বছর ছুঁইছুঁই করছে। চোখেও দেখেন কম।

অনেক কষ্টে হাঁটাচলা করতে পারলেও কাজকর্ম করতে পারেন না। আমেনা বেওয়ার সারা শরীরে নানা অসুখ বাসা বেঁধেছে। ওষুধ কেনার সামর্থ নেই। মানুষের কাছ থেকে চেয়ে যা পান তা দিয়েই ওষুধ কেনেন। গাইবান্ধা জেলার সাদুল্যাপুর উপজেলার জামালপুর ইউয়নের পাতিল্যাকুড়া গ্রামের এ হতদরিদ্র, বিধবা আমেনা বেওয়ার আজও ভাগ্যে জোটেনি বয়স্কভাতা কিংবা বিধবাভাতার কার্ড। ফলে ছেলেদের সংসারে নানা অভাব-অনটনের মধ্য দিয়েই খেয়ে-না-খেয়ে বেঁচে আছেন তিনি।

জাতীয় পরিচয়পত্র অনুযায়ী আমেনা বেওয়ার জন্ম তারিখ ১৯১১ সালের ৭ই আগস্ট। প্রায় ১৫ বছর আগেই তিনি স্বামী এফাজ উদ্দিনকে হারিয়ে বিধবা হয়েছেন। সেই থেকে ছেলে ও মেয়েদের নিয়ে নিরন্তর সংগ্রাম করে চলেছেন। যদিও মেয়েদের বিয়ে দিয়েছেন। আর ছেলেরা দিনমজুরি করে যা রোজগার করে তা দিয়েই কোনো রকমে চলে তাদের সংসার। এছাড়া আমেনা বেওয়ার অভিযোগ, বিধবা ও বয়স্কভাতার কার্ডের জন্য উপজেলা প্রশাসনসহ স্থানীয় জনপ্রতিনিধিদের কাছে একাধিকবার ঘুরে কোনো কাজ হয়নি। শেষ বয়সে একটি ভাতাকার্ডের প্রত্যাশা করেন তিনি।