শীতকালের সকালে লেপ মুড়িয়ে আরাম করে ঘুমাতে কে না ভালোবাসে! তবে, অনেকের জন্য এই আরামদায়ক ঘুম কখনও কখনও অলসতা তৈরি করতে পারে। শীত কিংবা গরম, শরীরের সুস্থতা বজায় রাখতে ব্যায়াম ও সুষম খাবার অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। শীতের অলসতা স্বাস্থ্যের জন্য মোটেও লাভজনক নয়, তাই এই সময়ে শরীরচর্চা এবং সঠিক খাদ্যাভ্যাস মেনে চলা বিশেষ প্রয়োজন।
শীতের এই অলসতা শুধু ওজন বাড়াতে সাহায্য করে না, মেজাজও খারাপ করতে পারে, এবং সঙ্গে আরও নানা ধরনের স্বাস্থ্য সমস্যা সৃষ্টি করতে পারে। তাই অলসতা যেন শরীর ও মনে বাসা না বাঁধে, সেটি নিশ্চিত করা জরুরি। চিকিৎসকদের মতে, শীতকালে মেজাজে পরিবর্তন এবং ক্লান্তি একটি সাধারণ সমস্যা। কম সূর্যালোক এবং ঠাণ্ডা আবহাওয়া শরীর ও মনকে প্রভাবিত করে। তবে চিন্তার কিছু নেই, কিছু বিশেষ খাবারের মাধ্যমে শীতকালেও আপনার মেজাজ ভালো রাখা সম্ভব। চলুন, জেনে নেওয়া যাক এমন কিছু খাবারের কথা, যা সুস্বাদু হওয়ার পাশাপাশি আপনার মনও খুশি রাখবে।
শীতের যেসব খাবার মেজাজ উন্নত করতে সাহায্য করবে:• বাদাম: বাদামে ম্যাগনেসিয়াম থাকে, যা মানসিক চাপ কমাতে সাহায্য করে।
• সবুজ শাকসবজি: পালং শাক, মেথি ও অন্যান্য সবুজ শাকসবজিতে ভিটামিন ও খনিজ থাকে, যা মেজাজ উন্নত করতে সাহায্য করে।
• ডার্ক চকলেট: ডার্ক চকলেটে ফ্ল্যাভোনয়েড ও পলিফেনল থাকে, যা মস্তিষ্কে রক্ত প্রবাহ বাড়ায় এবং সেরোটোনিনের মাত্রা বাড়ায়।
• কলা: কলায় ভিটামিন বি৬ থাকে, যা সেরোটোনিন নিঃসরণে সাহায্য করে।
• দই: দইতে প্রোবায়োটিক থাকে, যা অন্ত্রের স্বাস্থ্যের জন্য ভালো এবং মেজাজ উন্নত করতে সাহায্য করে।
• আদা: আদার প্রদাহ বিরোধী বৈশিষ্ট্য রয়েছে, যা মানসিক চাপ কমাতে সাহায্য করে।
• আখরোট: আখরোটে ওমেগা-৩ ফ্যাটি এসিড থাকে, যা মস্তিষ্কের স্বাস্থ্যের জন্য ভালো এবং মেজাজ উন্নত করতে সাহায্য করে।অতিরিক্ত টিপস:
• প্রতিদিন কিছুক্ষণ রোদে বসলে ভিটামিন ডি পাওয়া যাবে, যা মেজাজও ভালো রাখতে সাহায্য করে। • নিয়মিত যোগব্যায়াম করলে মানসিক চাপ কমে এবং মেজাজ উন্নত হবে।