জাতীয় পার্টি চেয়ারম্যান এইচ এম এরশাদকে নিয়ে দুশ্চিন্তায় পড়েছেন রংপুর সিটি করপোরেশন (রসিক) নির্বাচনে আওয়ামী লীগের মেয়র প্রার্থী সরফুদ্দীন আহমেদ ঝন্টু। তার আশঙ্কা, বৃহস্পতিবার অনুষ্ঠেয় এই নির্বাচনে অবৈধভাবে প্রভাব বিস্তারের চেষ্টা করতে পারেন সাবেক রাষ্ট্রপতি এইচএম এরশাদ।
একই সঙ্গে বিএনপির বিরুদ্ধে নির্বাচনে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টির আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন আওয়ামী লীগের এই মেয়র প্রার্থী।
ঝন্টুর ভাষ্য, রংপুরে বিএনপির অস্তিত্ব নেই। তারা নির্বাচনে অংশগ্রহণের নামে মূলত জাতীয় পার্টিকেই সহায়তা করছে। নির্বাচনকে প্রশ্নবিদ্ধ করার অপচেষ্টা চালাচ্ছে।
তারপরও নির্বাচন অবাধ, নিরপেক্ষ ও সুষ্ঠু হলে নৌকা প্রতীক বিজয়ী হবে বলে মনে করছেন সরফুদ্দীন আহমেদ ঝন্টু।
তিনি সোমবার সৈয়দপুরে আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট জাহাঙ্গীর কবির নানক, দুই সাংগঠনিক সম্পাদক আহমদ হোসেন ও খালিদ মাহমুদ চৌধুরীর সঙ্গে এক জরুরি বৈঠকে এমন আশঙ্কা ব্যক্ত করেছেন।
ওই বৈঠকে অংশ নেওয়া দুই নেতা সাংবাদমাধ্যমকে জানিয়েছেন, সরফুদ্দীন আহমেদ ঝন্টু দলের কেন্দ্রীয় নেতাদের বলেছেন, মন্ত্রী পদমর্যাদার কারণে তিনি স্থানীয় প্রশাসনের ওপর এক ধরনের প্রভাব বিস্তারের চেষ্টা করছেন। এ কারণেই নির্বাচনে স্থানীয় প্রশাসনকে প্রভাবমুক্ত রাখার বেলায় দলের কেন্দ্রীয় নেতাদের সহায়তা চেয়েছেন জাতীয় পার্টি হয়ে আওয়ামী লীগে আসা সরফুদ্দীন আহমেদ ঝন্টু।
কেন্দ্রীয় নেতারা তাকে আশ্বস্ত করে বলেছেন, নির্বাচন শতভাগ অবাধ ও নিরপেক্ষ হবে। স্থানীয় প্রশাসনে কারোরই হস্তক্ষেপ করার কোনো সুযোগ থাকবে না। ওই বৈঠক থেকেই নির্বাচন সংক্রান্ত সার্বিক কর্মকাণ্ড নিয়ে দলের সাধারণ সম্পাদক ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদেরের সঙ্গে টেলিফোনে কথা বলেন সরফুদ্দীন আহমেদ ঝন্টু। তিনি বৈঠকের মাধ্যমে দলের নেতাকর্মীদের আরও সক্রিয় করার জন্য কেন্দ্রীয় নেতাদের জরুরি হস্তক্ষেপ চান। বিশেষ করে নির্বাচনের দিনে নেতাকর্মীদের সার্বক্ষণিক সবর ভূমিকা নিশ্চিত করার উপর গুরুত্বারোপ করেন এই মেয়র প্রার্থী।
অবশ্য এর আগেই দলের রংপুর জেলা ভারপ্রাপ্ত সভাপতি মমতাজ উদ্দিন আহম্মেদ, সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট রেজাউল করিম রাজু, রংপুর মহানগর সভাপতি শফিউর রহমান শফি ও সাধারণ সম্পাদক তুষার কান্তি মণ্ডলের সঙ্গে বৈঠক করে প্রয়োজনীয় নির্দেশনা দেন কেন্দ্রীয় নেতারা।
এদিকে মঙ্গলবার আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট জাহাঙ্গীর কবির নানকের সঙ্গে টেলিফোনে কথা বলেছেন জাতীয় পার্টির মহাসচিব রুহুল আমিন হাওলাদার। দুই নেতা রংপুর সিটি করপোরেশন নির্বাচন নিয়েই আলোচনা করেছেন বলে জানা গেছে।
 
                             
  
  
                                             
                                        
										
									 
                                        
										
									 
                                        
										
									 
                                        
										
									 
                                        
										
									 
                                        
										
								 
                                                
																					 
                                                
																					 
                                                
																					 
                                                
																					 
                                                
																					 
                                                
																					 
                                                
																					 
                                                
																					