চলচ্চিত্র জগতের আড়ালে পরী নাম লেখান নিষিদ্ধ পর্নো ব্যবসায়

চলচ্চিত্র জগতের আড়ালে পরী নাম লেখান নিষিদ্ধ পর্নো ব্যবসায়

পরীমনির নিয়মিত মদপানের বিষয়টি সকলের জানা তবে গ্রেফতারের পর নতুন করে ধূমপানের বিষয়টিও সামনে এলো। এছাড়া তার বিশৃঙ্খল জীবন, ব্ল্যাকমেইলিং, মাদক ব্যবসা পর্নোগ্রাফি- সব মিলিয়ে পরীমনির বিরুদ্ধে অভিযোগ অনেক।

চলচ্চিত্র জগতের আড়ালে পরী নাম লেখান নিষিদ্ধ পর্নো ব্যবসায়। অঢেল টাকার নেশা তাকে টেনে নামায় অন্ধকার জগতে। অবশ্য তিনি একা নন।

সূত্র বলছে, সিনেমা শুটিংয়ের আড়ালে পরী মূলত প্রভাবশালীদের ঘনিষ্ঠ হতেই বেশি পছন্দ করতেন। রাজধানীর পাঁচতারকা হোটেলে তাকে লাস্যময়ী ভঙ্গিতে দেখা যায়। প্রায় প্রতিদিনই গভীর রাত পর্যন্ত পার্টি শেষে মদ্যপ অবস্থায় বের হতেন তিনি।

সূত্র বলছে, কয়েকটি ব্যাংকে পরীর মোটা অঙ্কের টাকা রয়েছে। যার বেশিরভাগই তিনি পেয়েছেন শুভাকাঙ্ক্ষীদের সঙ্গে ঘনিষ্ঠতার সুবাদে। টাকার নেশা তাকে ছাড়ে না। একপর্যায়ে নাম লেখান পর্নোগ্রাফির নিষিদ্ধ জগতে।এজন্য পরী তার ঘনিষ্ঠ মডেলদের মাধ্যমে একটি চক্র গড়ে তোলেন। উঠতি মডেল এবং চিত্রনায়িকাদের পর্নোছবি তুলে পাঠানো হতো কথিত হাই-প্রোফাইলদের কাছে। তার মাধ্যমে অনেকে ব্ল্যাকমেইলিংয়ের শিকার হন।

র‌্যাব গোয়েন্দা শাখার পরিচালক লে. কর্নেল খায়রুল ইসলাম  বলেন, পরীমনি ছাড়াও বেশ কয়েকজন মডেল-অভিনেত্রীর বিরুদ্ধে সুনির্দিষ্ট অভিযোগ পাওয়া গেছে।

বুধবার অভিনেত্রীর বনানীর বাসায় অভিযান চালায় র‌্যাব। তার ফ্ল্যাট থেকে ভয়ংকর নতুন মাদক লাইসার্জিক অ্যাসিড ডাইইথ্যালামাইড (এলএসডি), আইস বিপুল পরিমাণ মদের বোতল উদ্ধার করা হয়। সেই সঙ্গে বিদেশি সিগারেটও পাওয়া যায়।

পরীর ঘনিষ্ঠদের তালিকায় আছেন- পুলিশ কর্মকর্তা, ব্যবসায়ী, আমলা, রাজনীতিবিদসহ অনেক প্রভাবশালীর নাম। এদের কেউ কেউ দেশের বাইরে পরীর সঙ্গে ঘুরতে যান। একটি বেসরকারি ব্যাংকের চেয়ারম্যান তাকে হ্যারিয়ার গাড়ি উপহার দেন। চেয়ারম্যানকে নজরদারিতে রাখা হয়েছে। এছাড়া পরীর বেশ কয়েকটি ব্যাংক হিসাব জব্দ করা হয়েছে।

বোট  ক্লাবে পরীমনির মদপান করার ভিডিও প্রকাশ এবং গুলশানের অলকমিউনিটি ক্লাবে গিয়ে মদ না পেয়ে ভাঙচুর কর্মচারীদের গায়ে  হাত তোলার অভিযোগও আছে  তার বিরুদ্ধে। 

 

এছাড়া পরী ধূমপানে অভ্যস্ত (চেইন স্মোকার) তার ফ্ল্যাটে বিদেশি সিগারেট মদের বিশাল সংগ্রহ রয়েছে। বলা যায় ছোটখাটো বার। তার ফ্ল্যাট থেকে রাশিয়ান ভদকা, জিন, টাকিলা, হুইস্কি বহু মূল্যবান রেড ওয়াইন উদ্ধার করা হয়েছে।