ফুসফুসকে পরিষ্কার ও কার্যকর রাখতে কিছু খাবার

ফুসফুসকে পরিষ্কার ও কার্যকর রাখতে কিছু খাবার

দেহের শ্বাস-প্রশ্বাস প্রক্রিয়া চালু রাখতে সাহায্য করে ফুসফুস। অথচ মহামারি ভাইরাসের কবলে পড়ে মারাত্মক ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে এই ফুসফুস। ফুসফুসকে পরিষ্কার কার্যকর রাখতে কিছু খাবার বিশেষ সাহায্য করে।

 

ভিটামিন ডি সমৃদ্ধ খাবার ফুসফুসের প্রদাহজনিত সমস্যা রোধে বেশ কার্যকরী। বিশেষ করে ভিটামিন ডি অভাবে শিশুদের শ্বাসকষ্ট দেখা দেয়। এর মূল উৎস সূর্য। এছাড়া দুধ, ডিম, দই, মাছ, মাংস ইত্যাদি খাবারে প্রচুর ভিটামিনডিরয়েছে।

 

হলুদের অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট কারকিউমিন ফুসফুসকে দূষিত পদার্থের প্রভাব থেকে সুরক্ষা করে। সর্দি-কাশি শ্বাসকষ্ট হলে কাঁচা হলুদের রস করে মাখন বা ঘির সঙ্গে মিশিয়ে খেলে ভালো কাজ হয়।

 

কাজু, আখরোট, পেস্তা, চিনাবাদামসহ মিষ্টি কুমড়ার বীজ ইত্যাদিতে প্রচুর ভিটামিনরয়েছে। সেইসঙ্গে খনিজ লবণ ওমেগা- ফ্যাটি এসিড রয়েছে। এসব খাবার ফুসফুসে অক্সিজেন সরবরাহ এবং প্রদাহজনিত সমস্যা রোধ করতে সাহায্য করে।

 

তুলসি পাতায় রয়েছে প্রচুর পরিমাণে অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট। আর এই অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট ফুসফুস সুরক্ষায় খুবই কার্যকর। বাতাসে থাকা ধূলিকণা শোষণ করতে পারে তুলসি। তাই শ্বাসযন্ত্রের দূষিত পদার্থ দূর করতে তুলসিপাতার রস কিংবা এই পাতা পানিতে ফুটিয়ে পান করুন। ফুসফুস ভালো থাকবে।

 

ফুসফুস ভালো রাখতে কালোজিরা অনেক ভালো কাজ করে। এর অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট শ্বাসনালির প্রদাহ রোধ করতে সাহায্য করে। প্রতিদিন আধা চা চামচ কালোজিরার গুঁড়া এক চা চামচ মধুর সঙ্গে মিশিয়ে খেলে ফুসফুস ভালো থাকবে।

 

ভিটামিনসিসমৃদ্ধ খাবারের কোনো বিকল্প নেই। ফুসফুসের প্রদাহজনিত সমস্যা রোধ করে এই ভিটামিন। শ্বাসযন্ত্রে অক্সিজেন সরবরাহ করতে সাহায্য করে এবং শ্বাসনালির জীবাণু ধ্বংস করে। লেবু, আমলকি, কমলা, আপেল, পেয়ারা ইত্যাদি খাবারে প্রচুর ভিটামিনসিরয়েছে।

 

রসুনে রয়েছে প্রচুর সেলিনিয়াম অ্যালিসিন। দুটি প্রাকৃতিক উপাদান ফুসফুস শ্বাসনালি ভালো রাখতে সাহায্য করে। এছাড়া দীর্ঘদিন ধরে ভাইরাসজনিত সংক্রমণ রোধে রসুনের ব্যবহার হয়ে আসছে।

 

গ্রিন টি বা সবুজ চায়ে ফ্ল্যাবিনয়েড নামের অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট রয়েছে। যা ফুসফুসের কার্য পরিচালনায় সহায়তা করে। সেইসঙ্গে ফুসফুস থেকে দূষিত পদার্থ বের করে দিতে সাহায্য করে।

 

মধুতে অ্যান্টি-মাইক্রোবায়াল প্রদাহনাশক ক্ষমতা রয়েছে, যা ফুসফুস পরিষ্কার করে। তাই প্রতিদিন এক চা চামচ মধু খেলে তা হবে ফুসফুসের জন্য উপকারী।

 

শারীরিক কসরতের বিকল্প নেই। শরীর সুস্থ রাখার পাশাপাশি ব্যায়াম আপনার ফুসফুসকে ভালো রাখবে। এজন্য এরোবিক্স, ইয়োগা বা কার্ডিও এক্সারসাইজ প্রতিদিন করতে হবে।

 

সামুদ্রিক মাছে ওমেগা- ফ্যাটি এসিড রয়েছে। যা ফুসফুস ভালো রাখতে সাহায্য করে। তাই প্রতিদিনের খাদ্যতালিকায় মাছ রাখুন।