প্রতিদিন কতটি চুল পড়া স্বাভাবিক

প্রতিদিন কতটি চুল পড়া স্বাভাবিক

হাজার চেষ্টা করেও চুল পড়ার সমস্যা এখন ঠেকিয়ে রাখা সম্ভব হচ্ছে না। বিভিন্ন জিনিস ব্যবহারেও খুব একটা সুবিধা মিলছে না। তবে এমন অনেকেই আছেন যাদের মাথার চুল স্বাভাবিক পড়লেও তারা মনে করছেন যে এই পরিমাণ অনেক বেশি। কোনো বিষয়ে সমাধান জানতে হলে আগে আপনাকে বুঝতে হবে সমস্যাটি কেন হচ্ছে। যদি বুঝতে পারেন যে কেন চুল পড়ছে, তবে আপনার চুল পড়া নিয়ন্ত্রণ সহজ হবে।

 

আমেরিকান একাডেমি অব ডার্মাটোলোজিস্টের তথ্য দিয়ে জানিয়েছে, প্রতিদিন গড়ে ৫০ থেকে ১০০টি চুল পড়া স্বাভাবিক। তবে দীর্ঘ চুলের ক্ষেত্রে এই স্বাভাবিক মাত্রা আরেকটু বেশি হতে পারে। যেহেতু মনে করা হয় মানুষের মাথায় এক লাখ বা তার বেশি চুল রয়েছে, সেহেতু ১০০ বা তার বেশি চুল পড়লে তার জন্য খুব বড় পার্থক্য হয় না।

 

চুল কেরাটিন নামের একরকম প্রোটিন দিয়ে তৈরি হয়। চুলে ৯৭ ভাগ প্রোটিন ও ৩ ভাগ পানি রয়েছে। চুলের যেটুকু আমরা দেখি সেটি মৃত কোষ। কারণ এতে অনুভূতিশীল কোনো কোষ নেই। চুল প্রতি মাসে আধা ইঞ্চি করে বড় হয়। স্বাভাবিকভাবে একটি চুল দুই থেকে চার বছর পর্যন্ত বড় হতে থাকে। এরপর বৃদ্ধি কমে যায়। গ্রীষ্মকালে চুল দ্রুত বড় হয় কিন্তু শীতকালে কম বড় হয়। একটি চুলের গড় আয়ু দুই-পাঁচ বছর। সুতরাং চুল কিছু না কিছু প্রতিদিন স্বাভাবিকভাবেই ঝরে যায়।

 

যেসব কারণে চুল বেশি পড়ে

বিভিন্ন কারণে চুল পড়তে পারে। অতিরিক্ত চুল পড়া টেলোজেন ইফ্লুভিয়াময়ের ইঙ্গিত দেয়। আয়রনের স্বল্পতা, অতিরিক্ত মানসিক চাপ, ফলিকলের দুর্বলতা, খুশকি, কলপ ও কৃত্রিম রঙ, কোঁকড়া চুল সোজা করার চেষ্টা, টেনে চুল বাঁধা, শ্যাম্পুসহ বিভিন্ন কারণে অতিরিক্ত চুল পড়তে পারে।

 

অতিরিক্ত চুল পড়লে করণীয়

অতিরিক্ত মানসিক চাপ কমাতে হবে। শ্বাস নেয়া, চুল মালিশ ও শরীরচর্চা করা এবং পর্যাপ্ত ঘুমের প্রয়োজন। আয়রনসমৃদ্ধ সুষম খাবার খাওয়া, চুলে রাসায়নিক উপাদান এড়িয়ে চলা। খুব বেশি শ্যাম্পু করা, তাপ প্রয়োগ ও রাসায়নিক স্প্রে করা থেকে বিরত থাকুন। পুষ্টিকর খাবার ও পর্যাপ্ত পরিমাণে পানি খান। চুল খুশকিমুক্ত ও পরিষ্কার রাখুন। কলপ, কৃত্রিম রঙ ব্যবহার করবেন না। কোঁকড়া চুল সোজা করবেন না। ভেজা চুল আঁচড়াবেন না। চুলের ধরন বুঝে শ্যাম্পু ব্যবহার করবেন।

 

চুল যদি অতিরিক্ত পড়ে, তবে তা বন্ধ করা জরুরি। কারণ চুল না থাকলে আপনার বাহ্যিক সৌন্দর্য দারুণভাবে ব্যাহত হয়।