নারায়নগঞ্জে মসজিদে এসি বিস্ফোরণ, মৃত্যুর সংখ্যা বাড়ছে

নারায়নগঞ্জে মসজিদে এসি বিস্ফোরণ, মৃত্যুর সংখ্যা বাড়ছে

নারায়ণগঞ্জ শহরের পশ্চিম তল্লা এলাকায় একটি মসজিদে বিস্ফোরণের ঘটনায় নিহত ব্যক্তিদের সংখ্যা বেড়ে ১১ জনে পৌঁছেছে। শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তাদের মৃত্যু হয়।

আজ শনিবার সকাল ৯টার পর ওই ইনস্টিটিউটের উপদেষ্টা চিকিৎসক সামন্ত লাল সেন সাংবাদিকদের এ তথ্য জানিয়েছেন।

সামন্ত লাল সেন জানান, হাসপাতালে চিকিৎসাধীন দগ্ধ ব্যক্তিদের বেশির ভাগের শরীরের ৬০ থেকে ৭০ ভাগ পুড়ে গেছে। তাঁদের বেশির ভাগের অবস্থা আশঙ্কাজনক। তিনি জানান, সকালে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা তাঁকে ফোন করেছিলেন। তিনি দগ্ধ ব্যক্তিদের সর্বোচ্চ চিকিৎসাসেবা নিশ্চিত করার নির্দেশনা দেন।

নারায়ণগঞ্জ শহরের পশ্চিম তল্লা এলাকার বায়তুস সালাত জামে মসজিদে গতকাল শুক্রবার রাত সাড়ে আটটার দিকে এ হৃদয়বিদারক ঘটনা ঘটে। বিস্ফোরণের সময় মসজিদে ৫০ জনের মতো মুসল্লি ছিলেন। তাঁদের সবাই কমবেশি দগ্ধ হয়েছেন। দগ্ধ ব্যক্তিদের মধ্যে গুরুতর ৩৭ জনকে শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে ভর্তি করা হয়েছে।

বিস্ফোরণের পর মসজিদটি ধ্বংসস্তূপে পরিণত হয়। মসজিদের ভেতরে থাকা ছয়টি এসির সব কটি পুড়ে গলে গেছে। মসজিদ ভবনের স্লাইডিং জানালার কাচ উড়ে গেছে, ভেতরে ফ্যান, বিদ্যুতের তার, প্যানেল বোর্ড সবকিছু পুড়ে গেছে। আগুনের খবর পেয়ে ফায়ার সার্ভিসের পাঁচটি ইউনিট ঘটনাস্থলে গিয়ে আধা ঘণ্টায় আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে।

ফায়ার সার্ভিস ও পুলিশ জানিয়েছে, প্রাথমিকভাবে তারা মনে করছে, গ্যাস পাইপলাইনের লিকেজ থেকে মসজিদের ভেতরে গ্যাস জমে যায়। পরে বৈদ্যুতিক শর্টসার্কিট বা অন্য কোনোভাবে অগ্নিস্ফুলিঙ্গের সৃষ্টি হলে সেখানে শক্তিশালী বিস্ফোরণ ঘটে ও আগুন লেগে যায়।

বিস্ফোরণে হতাহতের ঘটনায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা গভীর শোক ও দুঃখপ্রকাশ করেছেন।প্রধানমন্ত্রী নিহতদের আত্মার মাগফিরাত কামনা করেন ও তাঁদের শোকসন্তপ্ত পরিবারের সদস্যদের প্রতি গভীর সমবেদনা জানান।