নববর্ষের সব অনুষ্ঠান বন্ধ:ছুটি সীমিত আকারে বাড়বে

নববর্ষের সব অনুষ্ঠান বন্ধ:ছুটি সীমিত আকারে বাড়বে

প্রাণঘাতী করোনাভাইরাসের সংক্রমণের কারণে নববর্ষের সব অনুষ্ঠান বন্ধ রাখার অনুরোধ জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ঘোষণা দিয়েছেন, করোনাভাইরাসের সংক্রমণের কারণে সরকারের ঘোষণা করা ছুটির মেয়াদ সীমিত আকারে বাড়বে। দেশের ৬৪টি জেলার জেলা প্রশাসকদের সঙ্গে আজ মঙ্গলবার সকালে আয়োজিত ভিডিও কনফারেন্সে ঘোষণা দেন প্রধানমন্ত্রী।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, বাংলা নববর্ষ আমরা সবসময় উৎসবের সঙ্গে উদযাপন করে থাকি। কিন্তু এবার যেহেতু আমরা সব অনুষ্ঠান বাদ দিয়েছি। লোক সমাগম হয় এমন অনুষ্ঠান করা থেকে বিরত রয়েছি। তাই নববর্ষের অনুষ্ঠানও বন্ধ রাখতে হবে। তিনি বলেন, এখন যেহেতু ডিজিটাল যুগ। ছোট ছোট অনুষ্ঠানও ডিজিটাল পদ্ধতিতে করা যেতে পারে। কিন্তু বিশাল লোকসমাগম করে সারা বাংলাদেশে যেভাবে নববর্ষের অনুষ্ঠান করা হয়, সেটি বন্ধ রাখতে হবে। মানুষের কল্যাণেই অনুষ্ঠান না করার অনুরোধ আপনাদের।

আজ সকাল ১০টায় ভিডিও কনফারেন্স শুরু হয়েছে। প্রধানমন্ত্রী তাঁর সরকারি বাসভবন গণভবন থেকে কনফারেন্সে যোগ দিয়েছেন।

করোনাভাইরাস মোকাবেলায় আগামী এপ্রিল পর্যন্ত সরকারি-বেসরকারি অফিসে টানা ১০ দিনের ছুটি চলছে।

ভিডিও কনফারেন্সে জেলা প্রশাসকেরা তাদের নিজ নিজ জেলার প্রস্তুতির অবস্থা প্রধানমন্ত্রীকে জানান। তিনি বলেন, আমরা ছুটি দিয়েছিলাম, হয়তো আমাদের আরও কয়েকদিন একটু বাড়াতে হতে পারে। কারণ যারা অনেকে গ্রামে চলে গেছেন, সেখানে কোনো রকম আবার এই রোগের প্রার্দুভাব দেখা না দেয়, সেই সময়টা হিসেব করে। আমরা ১০/ ১২ দিনের ছুটি দিয়েছিলাম। এটা ১৪ দিন পর্যন্ত হতে পারে।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, আমাদের ২৬ মার্চ ছুটি থেকে ছিল। কোয়ারেন্টিন কত তারিখ পর্যন্ত হবে? তারিখ পর্যন্ত। তাহলে বোধহয় আমাদের এই ছুটিটা সীমিত আকারে বাড়াতে হবে।

সরকারর রোগতত্ত্ব, রোগনিয়ন্ত্রণ গবেষণা প্রতিষ্ঠানের (আইইডিসিআর) দেওয়া সর্বশেষ তথ্য অনুসারে, পর্যন্ত দেশে ৪৯ জন করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন। মারা গেছেন পাঁচজন। মোট হাজার ৩৩৮ জনের নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছে।