দশটা সাধারণ মানুষেরমত নই,'আমি শাবনূর

দশটা সাধারণ মানুষেরমত নই,'আমি শাবনূর

বিবাহবিচ্ছেদের নোটিশ পাঠানোর পর শাবনূরের বিরুদ্ধে নানা অভিযোগ তুলেছেন অনিক মাহমুদ। গতকাল অস্ট্রেলিয়া থেকে টেলিফোনে পাল্টা অভিযোগ করেছেন শাবনূর। জানালেন করোনা পরিস্থিতি স্বাভাবিক হলে দেশেও আসবেন।

চাইনিজ নাগরিককে বিয়ে করেছিলেন শাবনূরএমন দাবি করেছেন শাবনূরের স্বামী অনীক মাহমুদের। তবে অনীকের এমন দাবিকে ভিত্তিহীন বলে উড়িয়ে দিয়েছেন শাবনূর। অনীক ধরনের কথা গণমাধ্যমে বলার পর শাবনূর দিলেন আরেকটি চাঞ্চল্যকর তথ্য। অনীকের আরেক বিয়ের তথ্য। পাঠানো কাগজ ঘেঁটে দেখা যায়, শাবনূর তাঁর বিচ্ছেদের নোটিশ পাঠানোর ১৫ মাস আগে আয়েশা আকতার নামের একজনকে বিয়ে করেন অনীক। বিষয়টি গোপন রেখেছিলেন বলেও জানান শাবনূর।

অনিক বলেছেন, তাঁর নতুন বিয়ের প্রমাণ দিতে না পারলে আপনাকে মাফ চাইতে হবে প্রসঙ্গে শাবনূর বলেন, নিশ্চয়ই! আর আমি যদি বিয়ের প্রমাণ দিতে পারি তাহলে কি সে মাফ চাইবে? সে নতুন বউকে নিয়ে দেশ-বিদেশ ঘুরে বেড়িয়েছে। সেসব ছবি আছে আমার কাছে। সবচেয়ে বড় কথা, অনিকের নতুন পাসপোর্টের কপিও আমার কাছে। সেখানে স্ত্রী হিসেবে আমি নই, আছে আয়েশা আক্তারের নাম। বিয়ে না করলে তার নাম ব্যবহার করল কেন? যেসব হোটেলে তারা ছিল, সেখানকার সব রকম তথ্য সংগ্রহ করে তারপর তার বিয়ের কথা ফাঁস করেছি। আমি শাবনূর, আর দশটা সাধারণ মানুষ নই। ফালতু অভিযোগ তোলা আমাকে মানায় না।

ছেলে আইজানের প্রতিও কি অনিকের কোনো টান নেই? এমন প্রশ্নের জবাবে শাবনূর বলেন, সত্যি বলতে, আমি যখন গর্ভবতী ছিলাম তখনো অনিক খোঁজখবর নেয়নি। অস্ট্রেলিয়ায় একাই বাচ্চা জন্ম দিয়েছি। খুশির খবরটা জানিয়েও প্রতিক্রিয়া পাইনি। অনিক বিভিন্নজনকে বলেছে, সে নাকি অস্ট্রেলিয়ায় আসত। আমি চ্যালেঞ্জ দিয়ে বললাম, সারা জীবনে একবার অস্ট্রেলিয়া আসার প্রমাণ যদি সে দিতে পারে তাহলে তার কাছে মাফ চেয়ে নেব। আজ পর্যন্ত ছেলের পড়াশোনার জন্য যদি এক টাকাও পাঠায় এবং তার প্রমাণ দিতে পারে, তাহলে ধরে নেব সে বাবার দায়িত্ব পালন করেছে।

জানা গেছে, ২০১১ সালের ডিসেম্বর অনীক মাহমুদের সঙ্গে আংটি বদল করেন শাবনূর। এরপর ২০১২ সালের ২৮ ডিসেম্বর বিয়ে করেন তাঁরা। ২০১৩ সালের ২৯ ডিসেম্বর আইজান নিহান নামের এক ছেলেসন্তানের মা হন শাবনূর। ছেলেকে নিয়ে তিনি এখন অস্ট্রেলিয়ায় থাকেন।