রিফাতের কাছে ডিভোর্স চেয়েছিলেন মিন্নি হত্যার আগের দিন

রিফাতের কাছে ডিভোর্স চেয়েছিলেন মিন্নি হত্যার আগের দিন

একে একে বেরিয়ে আসছে রিফাত হত্যার  কারন।হত্যাকাণ্ডের আগের দিন  দুপুরে রিফাত মিন্নি রিফাতের ফুফাত বোনের বাসায় গিয়েছিলেন। সেখানে দুজনের মধ্যে ঝগড়া হয়। মিন্নি স্বাধীনভাবে চলাফেরা করতে চেয়েছিলেন। কিন্তু রিফাত তাতে রাজি ছিলেন না। কারণে ২৫ জুন মিন্নি রিফাতের কাছে ডিভোর্স চেয়েছিলেন রিফাতের ফুফাত বোন হ্যাপি বেগমের বাসায়।

বরগুনার চাঞ্চল্যকর রিফাত শরীফ হত্যা মামলায় গতকাল রোববার বরগুনা জেলা দায়রা জজ মো. আছাদুজ্জামানের আদালতে এমনই সাক্ষ্য দিয়েছেন হ্যাপি বেগম।

একইদিন আদালতে হত্যা মামলায় আরও দুজনের সাক্ষ্য জেরা সম্পন্ন হয়েছে। তারা হলেন- বরগুনা পৌর কাউন্সিলর ফারুক শিকদার জয় চন্দ্র রায়।

সাক্ষ্য প্রদানকালে মামলার অন্যতম আসামি আয়শা সিদ্দিকা মিন্নিসহ প্রাপ্তবয়স্ক আসামি আদালতে উপস্থিত ছিলেন। পর্যন্ত ৩৮ জনের সাক্ষ্য জেরা সমাপ্ত হয়েছে।

এদিকে একই আদালতে গতকাল আয়শা সিদ্দিকা মিন্নির জামিন বাতিলের আবেদনের শুনানি করে সাক্ষীকে হুমকির অভিযোগ তদন্তের আদেশ দিয়েছেন বিচারক মো. আছাদুজ্জামান মিয়া।

উল্লেখ্য, গত বছরের ২৬ জুন রিফাতকে বরগুনার রাস্তায় প্রকাশ্যে কুপিয়ে হত্যা করা হয়। এর ভিডিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়লে সারা দেশে আলোচনার সৃষ্টি হয়।

পর দিন রিফাত শরীফের বাবা আবদুল হালিম দুলাল শরীফ ১২ জনকে আসামি করে একটি মামলা করেন, তাতে প্রধান সাক্ষী করা হয়েছিল মিন্নিকে।পরে মিন্নির শ্বশুর তার ছেলেকে হত্যায় পুত্রবধূর জড়িত থাকার অভিযোগ তুলে সংবাদ সম্মেলন করলে ঘটনা নতুন দিকে মোড় নেয়।

গত ১৬ জুলাই মিন্নিকে বরগুনার পুলিশ সুপারের কার্যালয়ে ডেকে নিয়ে দিনভর জিজ্ঞাসাবাদের পর মামলায় মিন্নিকে গ্রেফতার দেখানো হয়।