নুরুলদের চিকিৎসা নিয়ে লুকোচুরির কিছু নেই

নুরুলদের  চিকিৎসা নিয়ে লুকোচুরির কিছু নেই

ভিপি নুরসহ আহত শিক্ষার্থীদের শারীরিক অবস্থা নিয়ে ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ লুকোচুরি করছে, শিক্ষার্থীদের এমন অভিযোগ নাকচ করে দিয়েছেন তিনি বলেছেন, মিস্টার নুর ভালো আছেন।

আজ বৃহস্পতিবার এক সংবাদ সম্মেলনে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল এ কে এম নাসির উদ্দিন জানিয়েছেন , হামলায় আহত হয়ে ডাকসুর ভিপি নুরুল হকসহ যাঁরা এসেছেন, তাঁদের সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিয়ে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে ।

এ কে এম নাসির উদ্দিন বলেন, ১৩ জন চিকিৎসকের একটি বোর্ড আহত ছাত্রদের চিকিৎসার বিষয়টি দেখভাল করছে। এর চেয়ে বড় চিকিৎসা বোর্ড এই মুহূর্তে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেই।

ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের পরিচালক জানান, নুরুল ও ফারুককে আজ হাসপাতাল থেকে ছেড়ে দেওয়ার কথা রয়েছে। হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অন্য ছাত্রদের অবস্থাও স্থিতিশীল। গত পরশু এ পি এম সুহেলের মস্তিষ্কে অস্ত্রোপচার হয়। তাঁকে আজ আইসিইউ থেকে এইচডিইউতে স্থানান্তর করা হতে পারে। তুহিন ফারাবীও ভালো আছেন।

২২ ডিসেম্বর ডাকসু ভবনে ভিপি নুরুল হকের কক্ষে ঢুকে হামলা চালান মুক্তিযুদ্ধ মঞ্চের একাংশের নেতা-কর্মীরা। তাঁদের সঙ্গে ছাত্রলীগের নেতা-কর্মীরাও ছিলেন।এ সময় নুরের সঙ্গে থাকা ছাত্র অধিকার সংরক্ষণ পরিষদের অন্তত ৩০ জনকে বেধড়ক মারধর করা হয়। দুজনকে ছাদ থেকে ফেলে দেয়া হয়। তাদের মধ্যে রোববার রাত পর্যন্ত ১৪ জন হাসপাতালে ভর্তি ছিলেন।

প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, দুই দফায় নুরুল হক ও তার সহযোগীদের রড, লাঠি ও বাঁশ দিয়ে পেটানো হয়। প্রথম দফায় মুক্তিযুদ্ধ মঞ্চের একাংশের সভাপতি আমিনুল ইসলাম ও সাধারণ সম্পাদক আল মামুনের নেতৃত্বে সংগঠনের নেতাকর্মীরা ডাকসু ভবনে ঢুকে তাদের পেটান।

এর পর ছাত্রলীগের ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শাখার সভাপতি সনজিৎ চন্দ্র দাস ও সাধারণ সম্পাদক (ডাকসুর এজিএস) সাদ্দাম হুসাইন ঘটনাস্থলে আসেন। তাদের উপস্থিতিতে দ্বিতীয় দফায় হামলা ও মারধর করা হয়। এ সময় ডাকসু ভবনেও ভাঙচুর চালান ছাত্রলীগের কিছু নেতাকর্মী।

এ হামলার ঘটনায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের সভাপতি সনজিৎ চন্দ্র দাস ও সাধারণ সম্পাদক সাদ্দাম হোসাইনসহ ৩৭ জনকে আসামি করে মামলা করেছেন ভিপি নুর। অজ্ঞাত আসামি করা হয়েছে আরও ৪০-৫০ জনকে। মঙ্গলবার সন্ধ্যায় নুরের পক্ষে রাজধানীর শাহবাগ থানায় মামলাটি করেন ডাকসুর সমাজসেবা সম্পাদক আখতার হোসেন।

এ ছাড়া নুর ও তার সঙ্গীদের ওপর হামলার ঘটনায় পুলিশের করা হত্যাচেষ্টা মামলায় গ্রেফতার মুক্তিযুদ্ধ মঞ্চের তিন নেতা আল মামুন, ইয়াসির আরাফাত তূর্য ও মেহেদী হাসান শান্তকে তিন দিনের রিমান্ড দিয়েছেন আদালত।