কিশোর-কিশোরীদের ঝুঁকিপূর্ণ আচরণের জন্য দায়ী কম ঘুম

কিশোর-কিশোরীদের ঝুঁকিপূর্ণ আচরণের জন্য দায়ী কম ঘুম

বিশেষজ্ঞরা সুস্থ থাকার জন্য সবচেয়ে বেশি গুরুত্ব দেন ঘুমকে তাদের মতে, ভালো ঘুম হলে আমাদের স্বাস্থ্য ভালো থাকার পাশাপাশি বাড়ে কর্মক্ষমতাও ঘুমের অভাবে উচ্চ রক্তচাপ, ব্রেইন স্ট্রোক, হার্টের সমস্যার মতো পরিস্থিতির তৈরি হয়

 

তবে এবারজেএএমএ পেডিয়াট্রিকেরএকটি জার্নালে প্রকাশিত একটি প্রতিবেদনে একদল গবেষক দাবি করেছেন, কিশোর-কিশোরীদের নিয়মিত ঘুমের সমস্যা হলে তা রূপ নিতে পারে মারাত্মক সমস্যায়। পর্যাপ্ত ঘুমের অভাবে তাদের মধ্যে দেখা দিতে পারে ঝুঁকিপূর্ণ আচরণ। মানুষের সঙ্গে উগ্র ব্যবহার, চিৎতকার-চেঁচামিচি, ঝগড়া-ঝাটি, মারামারির মতো ঘটনা ঘটায়। প্রয়োজনীয় ঘুমের অভাবে তরুণদের মধ্যে আত্মহত্যার মতো প্রবণতাও দেখা দিয়ে থাকে। মার্কিন গবেষক দল ২০০৭ থেকে ২০১৫ সাল পর্যন্ত তরুণদের ঝুঁকিপূর্ণ ব্যবহারের ওপর জরিপ করে এই ফলাফল পান

 

সুস্থ থাকতে প্রতিদিন অন্তত ঘণ্টা ঘুমানো জরুরি। গবেষক দল দেখতে পান অধিকাংশ হাইস্কুলগামী তরুণ-তরুণী প্রয়োজনীয় এই ঘণ্টা ঘুমায় না। এই কারণে তাদের ৭০ ভাগের মধ্যে ঝুঁকিপূর্ণ আচরণ দেখা দেয় যা কিনা তাদের পরবর্তী জীবনেও নেতিবাচক প্রভাব ফেলে। পরবর্তী জীবনে মদ্যপ অবস্থায় গাড়ি চালানো, অনিরাপদ যৌন আচরণ, আক্রমণাত্মক আচরণ, মাদকে আসক্ত হয়ে পড়ার মতো নানা সমস্যায় জর্জরিত হয়ে পড়েজরিপে অংশ নেওয়া তরুণদের মধ্যে কারা দৈনিক ঘণ্টা ঘুমায়, কারা ঘণ্টা ঘুমায়, কারা ঘণ্টা ঘুমায়, কারা ঘণ্টার কম ঘুমায় সব তথ্য জোগাড় করার পাশাপাশি তাদের আচরণ গত বিভিন্ন বিষয় নিয়ে তথ্য জোগাড় করেন। গবেষণার ফলাফলে বের হয়ে আসে, যারা আট ঘণ্টার কম ঘুমায় ধীরে ধীরে তাদের মধ্যে ঝুঁকিপূর্ণ আচরণের বহিঃপ্রকাশ ঘটে। এই সমস্যা থেকে তরুণদের বের করে নিয়ে আসতে এক সময় চিকিত্সকের শরণাপন্ন হওয়াটা বাধ্যতামূলক হয়ে পড়ে।