যেসব রাস্তা এড়িয়ে চলবেন আজ রাজধানী ঢাকার

যেসব রাস্তা এড়িয়ে চলবেন আজ রাজধানী ঢাকার

স্বল্পোন্নত দেশ থেকে উন্নয়নের মহাসড়ক ধরে এরই মধ্যে বাংলাদেশ পৌঁছে গেছে উন্নয়নশীলদের কাতারে। এ দেশ এখন বিশ্বের উন্নয়নের রোল মডেল। স্বপ্ন পূরণের এই আনন্দে ভাসবে আজ বাংলাদেশ।

এ ঐতিহাসিক সাফল্য উদযাপন উপলক্ষে বৃহস্পতিবার বঙ্গবন্ধু জাতীয় স্টেডিয়ামে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করেছে সরকার।

আর এ অনুষ্ঠানে যোগ দিতে রাজধানীর নির্ধারিত নয়টি স্থান থেকে ৫৭টি মন্ত্রণালয়/বিভাগ এবং অধীন দফতরগুলোর কর্মকর্তা/কর্মচারী ও সাধারণ জনগণ ব্যানার, ফেস্টুনসহ র্যালি নিয়ে স্টেডিয়ামে ঢুকবেন। র‌্যালিতে সমবেত হওয়া এবং নয়টি স্থান থেকে র‌্যালি করে স্টেডিয়ামে ঢোকার কারণে বৃহস্পতিবার দুপুর ২টা থেকে সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত বঙ্গবন্ধু জাতীয় স্টেডিয়াম এবং চারপাশের বিভিন্ন সড়কে যান চলাচলে সমস্যা হবে।

 

যানজট এড়িয়ে নির্বিঘ্নে র্যালির সময় শাহবাগ, কাকরাইল মসজিদ, নাইটিঙ্গেল, ফকিরাপুল, শাপলা চত্বর, গুলিস্তান, ফুলবাড়ীয়া, চানখারপুল, বকশিবাজার, পলাশী, নীলক্ষেত অঞ্চলে ডাইভারশনের প্রয়োজন পড়বে। এ অবস্থায় সর্বসাধারণকে নিতান্ত প্রয়োজন ছাড়া গাড়ি নিয়ে এসব এলাকা এড়িয়ে চলার পরামর্শ দিয়েছে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ (ডিএমপি)। একইসঙ্গে নিরাপত্তার স্বার্থে র্যালিতে অংশগ্রহণকারী ব্যাক প্যাক, হ্যান্ড ব্যাগ, ভ্যানিটিব্যাগ, সিগারেট লাইটার বহন পরিহারের অনুরোধ জানানো হয়েছে।

 

বুধবার ডিএমপি কমিশনার আছাদুজ্জামান মিয়া স্বাক্ষরিত এক অফিস আদেশে নগরবাসীর প্রতি এ অনুরোধ জানান।

 

স্টেডিয়ামে ঢোকার রুট আদেশে জানানো হয়: বঙ্গবন্ধু জাতীয় স্টেডিয়ামের অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থাকবেন। এ উপলক্ষে সংশ্লিষ্ট সবাই দুপুর ২টার পর থেকেই সচিবালয়সহ রাজধানীর বিভিন্ন এলাকার সরকারি অফিস থেকে গাড়ি করে/হেঁটে সমবেত স্থলে জমায়েত হবেন। বিকাল ৪টায় নির্দিষ্ট রুট দিয়ে বিভিন্ন মন্ত্রণালয়/বিভাগের আনন্দ র্যালি স্টেডিয়ামে ঢুকবে। সমবেত হওয়ার নির্ধারিত স্থান ও র‌্যালি ঢোকার রুট: বাংলা একাডেমি ও সংলগ্ন এলাকায় সমবেত হয়ে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়, সেতু বিভাগ, প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়, অর্থনৈতিক সম্পর্ক বিভাগ, মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়, পরিকল্পনা বিভাগ, পরিসংখ্যান ও তথ্য ব্যবস্থাপনা বিভাগ, বাস্তবায়ন পরিবীক্ষণ ও মূল্যায়ন বিভাগ, তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগ, প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়।

এদিকে এ উপলক্ষে রাজধানী সেজেছে নতুন সাজে। ফেস্টুন, ব্যানার, পোস্টার, এলইডি লাইটিং, রঙিন পতাকায় শহর সজ্জিত করা হয়েছে। ফেসবুক, টুইটার, ব্লগসহ নানা মাধ্যমে এ অর্জনের ব্যাপক প্রচার শুরু হয়েছে। এলডিসি উত্তরণ সংক্রান্ত তথ্য উপস্থাপনে সম্পৃক্ত হয়েছে দেশের সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান। শুধু রাজধানী নয়, উৎসব পালিত হবে জেলা, উপজেলা পর্যায়েও। স্থানীয় জনগণকে সম্পৃক্ত করে তৃণমূল পর্যায়েও কর্মসূচি পালনের সব পরিকল্পনা নেয়া হয়েছে। এ উদ্দেশ্যে জেলাপর্যায়ে সেমিনার, চিত্র প্রদর্শনী, ছবি আঁকা প্রতিযোগিতার আয়োজন করা হয়েছে। এছাড়াও তথ্যপ্রযুক্তিবিষয়ক উন্নয়ন প্রদর্শনীরও আয়োজন করা হয়েছে।