উস্তাদ বিসমিল্লাহ খান এর ১০২ তম জন্মদিনে গুগলের ডুডল

উস্তাদ বিসমিল্লাহ খান এর ১০২ তম জন্মদিনে গুগলের ডুডল

এই মহান সাধক সানাইকে উচ্চাঙ্গ সঙ্গীত জগতের যন্ত্র হিসেবে অধিষ্ঠিত করেন। এর মাধ্যমে অমর এই শিল্পী ভারতের উচ্চাঙ্গ শাস্ত্রীয় সঙ্গীত জগতে ওস্তাদ উপাধিতে ভূষিত হন।

১৯১৬ সালের ২১ মার্চ তিনি ভারতের বিহারের একটি ছোট গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন। বাবার নাম পয়গম্বর খান ও মা মিঠান। তিনি বাবা মায়ের দ্বিতীয় সন্তান। তাকে প্রথমে কামরুদ্দিন নামে ডাকা হতো। কিন্তু তার দাদা নবজাতককে দেখে বিসমিল্লাহ বলার পর থেকে তার নাম হয়ে যায় বিসমিল্লাহ খান। 

বিসমিল্লাহ খানের পূর্বপুরুষরা বিহারের ডুমরাও রাজ্যের রাজ সঙ্গীতজ্ঞ ছিলেন। বিসমিল্লাহ খান ছিলেন অত্যন্ত ধার্মিক শিয়া মুসলমান। তবে তিনি জ্ঞানের দেবী স্বরস্বতীরও আরাধণা করতেন। তাই তো বিসমিল্লাহ খান হিন্দু-মুসলমান সম্প্রীতির এক অনুকরণীয় দৃষ্টান্ত হয়ে আছেন আজো। 

বিসমিল্লাহ খানের গুরু ছিলেন আলী বকস বিলায়াতু। বিলায়াতু ছিলেন বারাণসীর বিশ্বনাথ মন্দিরের সানাই বাদক। ১৯৩৭ সালে কলকাতায় অল ইন্ডিয়া মিউজিক কনফারেন্সে সানাই বাজিয়ে সানাইকে ভারতীয় সঙ্গীতের মূল মঞ্চে নিয়ে আসেন ওস্তাদ বিসমিল্লাহ খান ।  আর ১৯৫০ সালের ২৬ জানুয়ারি দিল্লির লাল কেল্লায় অনুষ্ঠিত ভারতের প্রথম প্রজাতন্ত্র দিবসে বিসমিল্লাহ খান মনের মাধুরী মিশিয়ে রাগ কাফি বাজিয়ে মুগ্ধ করেছিলেন সারা ভারতবর্ষকে। ভারতীয় দূরদর্শনের ১৫ আগস্টের স্বাধীনতা দিবসের অনুষ্ঠানে তার সানাই বাদন সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের অবিচ্ছেদ্য অংশ হয়ে গিয়েছিল। দিল্লির লাল কেল্লায় প্রধানমন্ত্রীর ভাষণের পর পরই ভারতীয় দূরদর্শন সানাই গুরুর অনুষ্ঠান সরাসরি সম্প্রচার করতো। পন্ডিত নেহেরুর সময় হতেই এই ঐতিহ্য চলছিল। 

বিসমিল্লাহ খান শুধু ভারতেই নয়, আফগানিস্তান, ইউরোপ, ইরান, ইরাক, কানাডা, পশ্চিম আফ্রিকা, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র, সোভিয়েত ইউনিয়ন, জাপান, হংকং-সহ পৃথিবীর প্রায় সব রাজধানী শহরেই তার সঙ্গীত প্রভা ছড়িয়েছেন।

উস্তাদ বিসমিল্লাহ খান এর ১০২ তম জন্মদিনে গুগলের ডুডল