স্ত্রী সহবাসের ব্যাপারে ইসলাম এর নির্দেশনা জেনে নিন

স্ত্রী সহবাসের ব্যাপারে ইসলাম এর নির্দেশনা জেনে নিন

মানুষের জন্য একমাত্র পূর্ণাঙ্গ জীবনব্যবস্থা বা দ্বীনের নাম ইসলাম। মানবজীবনের প্রতিটা ক্ষেত্রে ইসলাম দূরদৃষ্টিসম্পন্ন প্রজ্ঞাপূর্ণ দিকনির্দেশনা দেয়, যার মাঝে নিহিত থাকে দুনিয়া ও আখেরাতের কল্যাণ। বৈবাহিক ক্ষেত্রেও নির্দেশনা বাদ পড়েনি। পবিত্র কুরআনে আল্লাহ রব্বুল ইজ্জত ইরশাদ করেছেন- নারী ও পুরুষের সম্পর্কের সীমারেখা, স্থায়ী ও অস্থায়ী বৈবাহিক সম্পর্ক, মোহরানা, বিবাহ বিচ্ছেদ ও ইদ্দত কাল সম্পর্কে। আর বিভিন্ন হাদিসগ্রন্থে রাসুলাল্লাহ (দ), তাঁর আহলে বায়েত ও সাহাবায়ে কেরামের কাছ থেকে জানা যায় এসবের পদ্ধতিগত বিবরণ। আজ আমরা জানবো, স্ত্রীর সাথে সহবাসের ব্যাপারে ইসলামের নির্দেশনা কী

 

বিয়ের অনুষ্ঠানের পর কনের কাছে যাওয়ার বৈধতা পান স্বামী। সারাদিন স্ত্রী কিছু খেয়েছেন কিনা তাঁর খবর নেয়া স্বামীর প্রথম দায়িত্ব। মুসনাদে আহমাদ গ্রন্থে আসমা বিনতে ইয়াযিদ হতে বর্ণনা এসেছে, বিয়ের জন্য উম্মুল মুমিনিন আয়েশাকে (রা) সাজিয়েছিলেন তিনি। বিয়ের পর আয়েশার (রা) কক্ষে রাসুল (দ) তশরিফ আনলে তিনি (রাবী) তাঁর দিকে এক পেয়ালা দুধ এগিয়ে দেন। রাসুল (দ) তা থেকে এক চুমুক পান করার পর নববধূর দিকে এগিয়ে দেন। বাকি দুধটুকু উপস্থিত অন্য নারীদের পান করতে বলেন।

 

অন্য এক হাদিসে হযরত আবি সাদ (রা) বর্ণনা করেন, তিনি গোলাম থাকা অবস্থায় মুসলিম হন এবং নিকাহ করেন। এতে হযরত আবু যর গিফফারি (রা), আবদুল্লাহ ইবনে মাসউদ (রা) ও হুযাইফা বিন ইয়ামিনকে দাওয়াত দেন। তাঁরা আবি সাদকে (রা) পরামর্শ দেন, বাসর রাতে স্ত্রীকে স্পর্শ করার আগেই ফরজ মোহরানা আদায় করতে এবং এরপর নির্জন কক্ষে নতুন স্ত্রীর কপালে হাত রেখে একটি দু’আ পড়তে। এরপর স্বামী-স্ত্রীকে একসাথে দুই রাকআত নামাজ পড়ার পরামর্শ দেন, যা রাসূল (দ) তাঁদের শিখিয়েছেন। উল্লেখিত দোয়াটি হলো-

 

اللهم انى اسئلك من خير ها وخيرما جبلتها عليه و اعوذ بك من شرها وشرما جبلتها عليه

(আল্লাহুম্মা ইন্নি আসআলুকা খাইরাহা ওয়া খাইরা মা জাবালতাহা আলাইহ, ওয়া আ’ঊযুবিকা মিন শাররিহা ওয়া শাররি মা জাবালতাহা আলাইহ।

অর্থঃ হে আল্লাহ! আমি আপনার নিকট এ বিবির কল্যাণ এবং যে কল্যাণের উপর তাকে সৃষ্টি করেছেন, তা প্রার্থনা করছি এবং বিবির অনিষ্টতা এবং যে অনিষ্টতার উপর তাকে সৃষ্টি করেছেন তা থেকে পানাহ চাচ্ছি।) –আবু দাউদ ১ : ২৯৩, আসসুনানুল কুবরা নাসাঈ ৬ : ৭৪