মেয়েরা গোপনে যে ৮ টি তথ্য সার্চ করে গুগলে

মেয়েরা গোপনে যে ৮ টি তথ্য সার্চ করে গুগলে

তথ্য-প্রযুক্তির কল্যাণে যে কোনও বিষয়ে জানতে বর্তমানে মানুষ মার্কিন সার্চ ইঞ্জিন গুগলের সহায়তা নিয়ে থাকেন। মেয়েরাও এক্ষেত্রে বেশ এগিয়ে। যে কোনও দরকারি তথ্য জানতে তারা ডু মেরে থাকেন গুগলে। চলুন জেনে নেওয়া যাক নারীরা গোপনে গোপনে গুগলে কোন ১০টি জিনিস সবচেয়ে কি বেশি সার্চ করে থাকেন।

 

১. ত্বকের ধরন নির্ণয় করব কীভাবে?

এই প্রশ্নের সবচেয়ে ভালো বিজ্ঞানসম্মত উপায় হলো একটি মেডিকেল স্কিন টেস্ট করানো। ঘরে বসেও প্রাথমিক পদ্ধতিতে ব্লটিং পেপার ব্যবহার করেও স্কিন টেস্ট করানো যায়। ব্লটিং পেপারটি আপনার ত্বকের বিভিন্ন এলাকায় লাগিয়ে দিন। এরপর তা তুলে আলোতে দেখুন। এতে যদি প্রচুর পরিমাণ তেল থাকে তাহলে বুঝতে হবে আপনার ত্বকের ধরন হলো তৈলাক্ত। আর যদি কম তেল থাকে তাহলে বুঝতে হবে আপনার ত্বক হলো শুষ্ক ত্বক।

 

২. ফর্সা ত্বক পাব কীভাবে?

 

নারীরা প্রায়ই ত্বক ফর্সা করার জন্য প্রচুর পরিমাণে কসমেটিকস কেনেন। যেমন, পাউডার, ফাউন্ডেশন এবং আরো নানা ধরনের প্রসাধনী কেনেন। কিন্তু ত্বক ফর্সা হওয়ার জন্য স্বাস্থ্যকর জীবন যাপনই মূল চাবিকাঠি। এজন্য প্রচুর পরিমাণে জল খেতে হবে, ফল ও জুস খেতে হবে, ভারসাম্যপূর্ণ খাদ্যাভ্যাস মেনে চলতে হবে এবং শরীর চর্চা করতে হবে।

 

৩. চুল কীভাবে দ্রুত গজানো যায়?

 

সারাদিন চুলের সঙ্গে নিষ্ঠুর সব আচরণ করে দিনশেষে এসে চুল কীভাবে দ্রুত গজানো সম্ভব তা নিয়ে গুগলে সার্চ করার কোনো মানে হয় না। চুল দ্রুত গজাতে চাইলে চুলকে ভালো যথেষ্ট পরিমাণে পুষ্টি সরবরাহ করতে হবে এবং প্রাকৃতিক বিপর্যয় থেকে রক্ষা করতে হবে। আর চুল দ্রুত গজানোর কোনো পদ্ধতি ব্যবহার করার সময় আপনাকে ধৈর্য্য ধরে অপেক্ষা করতে হবে। একদিনেই এর কোনো সমাধান সম্ভব নয়।

 

৪. ট্যাটু কি ত্বকের জন্য ক্ষতিকর?

 

সবার জন্য যে ট্যাটু ক্ষতিকর এমন নয়। তবে যারা স্থায়ী ট্যাটু এঁকেছেন তাদের অনেকেই অভিযোগ করেছেন, এর ফলে তাদের ত্বকের সমস্যা বেড়েছে। অর্থাৎ ট্যাটুতে ঝুঁকি আছে। সুতরাং আপনি যদি পুরোপুরি নিরাপদ থাকতে চান তাহলে ট্যাটু না করানোই ভালো।

 

৫. বলিরেখা মুক্ত ত্বক পাওয়া যাবে কীভাবে?

 

প্রথম থেকেই ত্বকের যত্ন শুরু করুন। ৩০ বছর হওয়ার সঙ্গে সঙ্গেই ত্বকের বাড়তি যত্ন নিতে হবে। কিন্তু আপনি যদি বলিরেখা পড়ার জন্য অপেক্ষা করেন এবং এরপর তা থেকে মুক্ত হতে চান তাহলে ভুল করবেন। বলিরেখার প্রথম লক্ষণ হলো কপালে ভাজপড়া। ওয়েবে ত্বকের বলিরেখা দূর করার ঘরোয়া দাওয়াই সম্পর্কিত নানা লেখা আছে। সেসব পড়ে পড়ে ত্বকের যত্ন করুন ধৈর্য্য ধরে।

 

৬. দেহের অবাঞ্ছিত লোম অপসারণে নিরাপদ উপায় কোনটি?

 

দেহের লোম অপসারণের আছে একাধিক উপায়। আপনি কোন উপায়টি ব্যবহার করবেন তা নির্ভর করছে আপনার ত্বকের ধরন এবং লোম গজানোর তীব্রতার ওপর। চোখের ভ্রুর জন্য থ্রেডিং এবং টোয়েকিং ভালো কাজ করে। হাত বা পায়ের জন্য ওয়াক্সিং সবচেয়ে ভালো পদ্ধতি।

 

৭. চুলে কয়দিন পরপর শ্যাম্পু করবো?

শ্যাম্পু তখনই করা উচিত যখন চুল ও মাথার ত্বকে ময়লা জমে। তবে একটা নির্দিষ্ট সময় পরপর শ্যাম্পু করালে চুল ভালো থাকে। আর চুলের যত্নে শ্যাম্পু করার পাশাপাশি তেল, কন্ডিশানার, ভলুমাইজার এবং অন্যান্য জিনিসও ব্যবহার করতে হবে। অনেকে প্রতিদিনই শ্যাম্পু করার কথা শুনে আঁতকে ওঠেন। কিন্তু আপনার চুলে যদি প্রতিদিনই কদাকার হয়ে ওঠে তাহলে প্রতিদিনই শ্যাম্পু করাতে হবে। এতে কোনো ক্ষতি হবে না।

 

 

 

৮. চোখের নিচের ফোলাভাব দূর করব কীভাবে?

 

শসা ও আলুর ফালি এবং আইস বা ঘুমের রুটিন বদলে আপনি আইব্যাগ বা চোখের ফোলাভাব থেকে মুক্ত হতে পারেন। তবে কর্কশ কিছু ব্যবহার করবেন না। কারণ তা আপনার চোখের দৃষ্টির ক্ষতি করতে পারে। আর তাতেও যদি আইব্যাগ দূর না হয় তাহলে একজন ত্বক বিশেষজ্ঞর সঙ্গে যোগাযোগ করুন।