এই ৮ উপাদান ভুলেও মুখে মাখবেন না

এই ৮ উপাদান ভুলেও মুখে মাখবেন না

শীতের আগমন ঘটেছে। তবে এই আগমনে ত্বকের যত্নে মাথায় রাখতে হবে বেশকিছু বিষয়, সতর্কতা।

 

এ সময় চাই বাড়তি যত্ন। ত্বককে সুন্দর তরতাজা আর উজ্জ্বল রাখ কতো কি না ব্যবহার করে থাকেন ললনারা। কোন অংশে কম যান না পুরুষরাও। ত্বকের যত্নে অনেকেই নানা কিছু মাখেন।

 

কসমেটিক থেকে শুরু করে প্রাকৃতিক উপাদান—সবকিছুই থাকে এর মধ্যে। তবে কিছু উপাদান রয়েছে, যেগুলোর ব্যবহারে লাভের চেয়ে ক্ষতিই বেশি হয়। আর এগুলো ব্যবহার করা একেবারেই ঠিক নয়।

 

স্বাস্থ্যবিষয়ক ওয়েবসাইট হেলদি ফুড টিম প্রকাশ করেছে এ-সংক্রান্ত একটি প্রতিবেদন। যা গ্লোবালভিশন টোয়েন্টিফোর ডটকমের পাঠকদের জন্য তুলে ধরা হলো।

 

১. ভ্যাসলিন: ভ্যাসলিন সারা বিশ্বেই ত্বক আর্দ্র করার একটি উৎকৃষ্ট উপাদান। এটি শুষ্ক ত্বক প্রতিরোধে উপকারী। বিভিন্ন কাটাছেঁড়া বা পোকামাকড়ের কামড়ে এটি ব্যবহার করা যায়। তবে ব্রণ হলে কখনোই ভ্যাসলিন মুখে লাগাবেন না। কারণ, এটি ব্রণ বাড়িয়ে দিতে পারে।

 

২. বডি লোশন: বডি লোশন তৈরি করা হয় শরীরের জন্য, মুখের জন্য নয়। শরীরের ত্বক মুখের ত্বকের তুলনায় পুরু হয়। আর বডি লোশনকেও সে অনুযায়ী তৈরি করা হয়।

 

৩. গরম পানি: গরম পানির গোসল বা বাষ্পে গোসল অনেকেরই পছন্দ হতে পারে। তবে গরম পানি মুখের ত্বকে লাগানো ঠিক নয়। এটি মুখের ত্বককে শুষ্ক করে তোলে।

 

৪. টুথপেস্ট: অনেকেই ব্রণ শুকিয়ে ফেলার জন্য টুথপেস্ট ব্যবহার করেন। তবে এ কাজ কখনোই করতে যাবেন না। টুথপেস্ট মুখের ত্বকে অস্বস্তি বাড়ায় এবং জটিল সমস্যা তৈরি করতে পারে। যেমন : কেমিক্যাল বার্ন, স্কার্স ইত্যাদি।

 

৫. হাইড্রোজেন পারঅক্সাইড: এই শক্তিশালী উপাদানটি কেটে গেলে ও পুড়ে গেলে সংক্রমণের হাত থেকে রক্ষা করতে কাজ করে। তবে এটি ব্রণের চিকিৎসায় কখনোই ভালো উপাদান নয়। এটি প্রদাহ ও অ্যালার্জি তৈরি করতে পারে।

 

৬. লেবু: লেবুর অনেক স্বাস্থ্যকর গুণ রয়েছে। তবে এটি মুখের ত্বকের পিএইচের ভারসাম্য ক্ষতিগ্রস্ত করে। তাই এটি ত্বকে ব্যবহার করবেন না।

 

৭. বেকিং সোডা: অনেকেই ভাবেন, বেকিং সোডার ব্যবহার ত্বকের মৃতকোষ দূর করতে ভালো। বিশেষজ্ঞরা বলেন, এর ব্যবহারে ত্বকের ক্ষতি হয় এবং ত্বকের আর্দ্রতা নষ্ট হয়। তাই মুখে বেকিং সোডা ব্যবহার না করার পরামর্শই দেন বিশেষজ্ঞরা।

 

৮. চিনি: অনেকে ত্বকের মৃতকোষ দূর করার জন্য চিনি ব্যবহার করেন। তবে এটি লাভের বদলে ক্ষতি বেশি করে। এটি ত্বকের নমনীয়তা কমিয়ে দেয়। তাই মুখে এই উপাদান ব্যবহার থেকেও বিরত থাকুন। আর খুব প্রয়োজন হলে চিকিৎসকের পরামর্শ নিন।