৩০দিনে দেহের ৬ কেজি ওজন কমানোর কৌশল

৩০দিনে দেহের ৬ কেজি ওজন কমানোর কৌশল

৩০ দিনে দেহের ৬ কেজি ওজন কমাবেন কীভাবে? খুব সহজ বিষয় যা আপনার চর্বিযুক্ত দেহকে এক মাসেই কমিয়ে ফেলবে। তার জন্য দরকার স্লিমিং ডায়েট। এর মাধ্যমেই আপনি আপনার কাঙ্খিত লক্ষ্যে পৌঁছতে পারবেন। এর কোনও পার্শ্বপ্রতিক্রিয়াও নেই।

বিশেষজ্ঞরা ডায়েট সম্পর্কে জানিয়েছেন, সুস্থ ও সবল থাকার জন্য শরীরে ৪০ রকমেরও বেশি পুষ্টি উপাদান দরকার হয়। পুষ্টির সামঞ্জস্য রক্ষা করাকেই ব্যালান্সড ডায়েট বলে।

পুষ্টিবিদদের মতে, ব্যালান্সড ডায়েটে ৫ রকমের খাদ্য থাকতে হবে। প্রতি গ্রুপের খাদ্য থেকে ৫ রকমের খাবার একবেলা একটি করে খেতে হবে৷ প্রতি গ্রুপ (যেমন শর্করা, আমিষ, শাকসবজি, ফল ও দুধ বা দুগ্ধজাত খাবার) থেকে এক বা একাধিক রকমের পুষ্টি পাওয়া যায়৷

যেমন পেয়ারাতে আছে ভিটামিন-সি, কিন্তু ওমেগা-৩ নেই, যা আছে মাছে। পনিরে আছে ভিটামিন বি-১২, কিন্তু ভিটামিন-সি নেই, পেয়ারায় ভিটামিন বি-১২ নেই। আবার এই ৫ গ্রুপের খাবারের ক্ষেত্রেও একেকটি গ্রুপের খাবারগুলোর একেক রকম পুষ্টি আছে।

তাই প্রতি গ্রুপের খাবার খাওয়ার ক্ষেত্রেও ভিন্নতা আনতে হবে। প্রতি গ্রুপের খাবারের মধ্যে একদিন শর্করা হিসেবে ভাত খেলেন অন্যদিন খেতে হবে রুটি বা নুডলস।

কোনও সবজিতে ভিটামিন-সি বেশি, কোনওটাতে আবার আয়রণ বেশি থাকে। তাই বিভিন্ন রকমের সবজি একেক বেলা একেক রকম খেতে হয়। ফলের ক্ষেত্রে একবেলা কমলা খেলে, অন্যবেলা তরমুজ বা কলা খেতে হবে। আরেক দিন এক বেলা আম খেলেন, অন্য বেলা আপেল।

৫ রকমের খাবারগুলো হলো-

১. শর্করা: ভাত, আটা, ময়দা, পাস্তা, নুডলস, রুটি, সিরিয়াল বা ওটস ইত্যাদি।

২. আমিষ: মাছ, মাংস, ডিম, বিনস, বাদাম, ডাল।

৩. শাকসবজি ও ডাল।

৪. ফল

৫. দুধ ও দুগ্ধজাত খাবার: পনির, দই ইত্যাদি।

স্লিমিং ডায়েট ফুড সমান্তরালভাবে শরীরের অতিরিক্ত ফ্যাট ভেঙে ফেলে বলে হঠাৎ বয়স বেড়ে যাওয়া, চামড়া ঝুলে পড়া, চুল পড়ে যাওয়া এ ধরনের কোনও পরিবর্তন পরিলক্ষিত হয় না।

এছাড়া এ ডায়েট সৌন্দর্য ও ত্বককে সজীব রাখবে ও শরীরিক দুর্বলতা থাকবেনা। কারণ এটা একটি পরিপূর্ণ ডায়েট বা ব্যালান্স ডায়েট। এছাড়াও ডায়াবেটিস, হৃদরোগ, উচ্চ রক্তচাপ, অধিক ইউরিক অ্যাসিড, কোলেস্টেরল, আর্থ্রাইটিস, শিশু স্বাস্থ্য ও গর্ভকালীন রোগীর জন্য বিশেষভাবে ডায়েট ফুড ক্যাটারিং করা হয়।