কলার খোসাও কাজে লাগে, আগে জানতেন

কলার খোসাও কাজে লাগে, আগে জানতেন

উপকারী ফল হিসেবে কলার গুণের খবর কমবেশি সবাই জানি। পর্যাপ্ত পটাশিয়ামযুক্ত ফল কলা উচ্চ রক্তচাপ ও হৃদরোগের পথ্য হিসেবে ব্যবহৃত হয়। কলার ভেতরের উপকারী এমন অনেক খবর জানলেও বাহিরের খবর তেমন রাখা হয় না। খোসাটি সব সময় বিবেচিত হয় ফেলনা হিসেবে। অথচ কলার খোসাও দারুণ উপকারী। ব্যবহার বিধি জেনে গুরুত্বপূর্ণ কাজে লাগানো সম্ভব কলার খোসাটিও। যেমন:

পোকার বিষ দমনে: মশা বা পোকামাকড়ের কামড়ালে ত্বক জ্বলে অথবা চুলকায়। এই কষ্টের অনুভূতি থেকে তাৎক্ষণিক রক্ষা পেতে চাইলে কলার খোসার ভেতরের দিকটা আক্রান্ত স্থানে ঘষুণ। দেখবেন মুহূর্তেই পোকার বিষ দমে গেছে।

দাঁতের হলদে ভাব দূর: ঘরোয়া উপায়ে দাঁতের হলদে ভাব দূর করতে চাইলেও ব্যবহার করতে পারেন কলার খোসা। প্রতিদিন সকালে দাঁত ব্রাশ করার আগে কলার খোসার ভেতরের দিকটা ঘষতে থাকুন। মিনিট দুয়েক ঘষার পরে নিয়মিত টুথপেস্ট দিয়ে দাঁত মেজে ফেলুন। মাত্র ৭ দিনেই দাঁত হয়ে উঠবে ঝকঝকে সাদা।

জুতা পরিষ্কার: হাতের কাছে শু পলিশ না থাকলেও সমস্যা নেই। জুতা চকচকে করে তুলতে ব্যবহার করতে পারেন কলার খোসা। প্রথমে জুতায় ময়লা লেগে থাকলে তা পরিষ্কার করে নিন। এবার পাকা কলার খোসার ভেতরের অংশ দিয়ে জুতা ঘষে পরিষ্কার করে নিন।

আঁচিল দূর: অনেকেই শরীরে আঁচিল নিয়ে বিব্রত থাকেন। কলার খোসা এই আঁচিল দূর করতেও সাহায্য করে। ছোট্ট এক টুকরো পাকা কলার খোসার ভেতরের অংশ আঁচিলের ওপর রাখুন। যতক্ষণ পড়ে না যায় ততক্ষণ রেখে দিন। কলার খোসার নিয়মিত ব্যবহারে আঁচিল শুকিয়ে পড়ে যাবে।

ব্রণ দূর: ব্রণকে দ্রুত দূর করতে সাহায্য করবে ফেলনা কলার খোসা। কলার খোসার ভেতরের অংশটি দিয়ে ব্রণের ওপর কিছুক্ষণ ঘষতে থাকুন। এবার দেখুন ব্রণ কোথায় মিলিয়ে গেছে।

খাবার হিসেবে: কাঁচা কলা সবজি হিসেবে খেলেও খোসা ফেলে দেয়া হয়। এখন থেকে খোসা ফেলে না দিয়ে খেতে পারেন সবজি হিসেবে। কাঁচা কলার খোসার ওপরের আঁশ ফেলে দিয়ে কুচি করে নিন। এবার লবণ মরিচে ভেজে খান মজার স্বাদে কলার খোসা ভাজি।