জানতে চান, প্রেম না করার ১০ সুবিধা

জানতে চান, প্রেম না করার ১০ সুবিধা

 ‘আরে এত বয়স হয়ে গেল আর এখনো একটা প্রেম করতে পারলে না?’ – প্রেম না করার কারণে এ ধরনের প্রশ্ন শুনতে হয়েছে কখনো? এ ধরনের কথা শুনে আর অস্বস্তিতে পড়তে হবে না।

যারা এ ধরনের প্রশ্ন করবে তাদের প্রেম না করার যে কত সুবিধা রয়েছে সেই তালিকাটি একবার শুনিয়ে দিবেন। দেখবেন, সে নিজেও প্রেম করার জন্য আফসোস করবে!

লাইফস্টাইল বিষয়ক ওয়েবসাইট নায়রাল্যান্ডের এক প্রতিবেদনে প্রেম না করার সুবিধাগুলো বিশদভাবে বর্ণনা করা হয়েছে।

 

১. প্রেম না করার সবচেয়ে বড় সুবিধা

হলো আপনার অনেক সময় বেঁচে যাবে। কারো জন্য ঘণ্টার পর ঘণ। টা অপেক্ষা করতে হবে না। অযথা সময় নষ্ট করতে হবে না। বরং আপনি অঢেল সময় পাবেন নিজের জন্য কিছু করার। এই ফাঁকে নিজের ক্যারিয়ারটা গুছিয়ে নিতে পারবেন।

২. ঘুমাতে সবাই পছন্দ করে। কিন্তু প্রেম করলে রাত জেগে কথা বলার বদভ্যাস তৈরি হয়ে যায়। তাই ঠিকমতো না রাতে ঘুম হয় না দিনে। তাই যদি বেশি করে ঘুমাতে চান তাহলে প্রেম থেকে দূরে থাকুন।

৩. বাবা-মা অথবা বড় ভাইবোনের ভয়ে ফোন লুকিয়ে রাখতে হবে না। তাদের আড়ালে দরজা বন্ধ করে ভয়ে ভয়ে কথা বলতে হবে না। ঘরের যেকোনো জায়গায় ফোন চার্জ দিতে পারবেন। বারবার ফোনের পাসওয়ার্ড বদলাতে হবে না। এখন নিশ্চয় বুঝতে পারছেন, প্রেম না করার কত সুবিধা!

৪. আপনার চেহারা কেমন বা নতুন পোশাকটাতে আপনাকে দেখেতে কেমন লাগছে এটা খেয়াল করার কোনো প্রয়োজন হবে না। সবসময় পরিপাটি থাকারও দরকার হবে না।

৫. যেকোনো রেস্তোরাঁয় খেতে যেতে পারবেন। চাইলেই নিজের পছন্দমতো খাবার অর্ডার দিতে পারবেন। অন্য কারো পছন্দের ওপর আপনাকে নির্ভর করতে হবে না। আর হ্যা, চিবিয়ে চিবিয়ে আস্তে খাবার খেতে হবে না। আর চামুচ দিয়ে খাচ্ছেন না হাত দিয়ে খাচ্ছেন কে খেয়াল করবে বলুন?

৬. মধ্যরাতে আপনাকে রোমান্টিক এসএমএস লিখতে হবে না। সকাল হলেই প্রথম ফোন দেওয়ার ঝামেলা থাকবে না। কী খেয়েছে, কোথায় যাচ্ছে, এখন কী করছে এগুলো একটু পর পর ফোন করে জানার কোনো দরকার হবে না।

৭. মেয়েরা যেকোনো ছেলের সঙ্গে কথা বলতে পারবে আর ছেলেরা যেকোনো মেয়ের সঙ্গে চাইলেই কথা বলতে পারবে। কোনো কিছুতে কোনো বাধা থাকবে না।

৮. যে কারো সঙ্গে মন চাইলেই ঘুরতে যেতে পারবেন। কেন গিয়েছ, কার সঙ্গে যাচ্ছ- এসব প্রশ্নের উত্তর দিতে হবে না।

৯. সারাক্ষণ অভিযোগ শুনতে হবে না। নিজের মনমত সবকিছু করতে পারবেন। কোথাও দেরিতে পৌঁছালেও কোনো সমস্যা নেই।

১০. বিয়ের জন্য কোনো তাড়া নেই। ছেলেদের তাড়াতাড়ি চাকরি খুঁজতে হবে না। আবার মেয়েদের ইচ্ছে করে বিয়ে ভাঙতে হবে না। এর থেকে সুবিধা আর কী আছে বলুন?