কুমিল্লায় প্রবাসীর বাড়ী রক্ষা পেল ৯৯৯ ফোন করে ডাকাতি থেকে

কুমিল্লায় প্রবাসীর বাড়ী রক্ষা পেল ৯৯৯ ফোন করে ডাকাতি থেকে

৯৯৯ পুলিশের নতুন এ সেবার ফোন নাম্বারে ফোন করায় গুরুতর ডাকাতির হাত থেকে রক্ষা পেল এক প্রবাসীর পরিবার।

শুক্রবার গভীর রাতে কুমিল্লার নাঙ্গলকোট উপজেলার মৌকরা ইউপির বাসরলঙ্কা গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। একই রাতে ওই বাড়ীসহ উপজেলার ২ গ্রামে ২ প্রবাসীর বাড়ীতে ডাকাতির ঘটনা ঘটেছে।

জানা গেছে, গত শুক্রবার গভীর রাতে উপজেলার মৌকরা ইউনিয়নের বাসরলঙ্কা গ্রামের প্রবাসী সহিদের বাড়ীর দরজা ভেঙ্গে ১৫-২০ জনের একদল ডাকাত হানা দিয়ে পরিবারের সকলের হাত পা বেধেঁ পেলে।

এসময় ডাকাতদের উপস্থিতি টের পেয়ে পুলিশের ৯৯৯ সেবা নাম্বারে ফোন করে পাশের বাড়ীর এক ব্যক্তি। সেসময় পাশের হাসানপুর এলাকার টহল পুলিশের দায়িত্বে থাকা নাঙ্গলকোট থানার সহকারী উপপরিদর্শক (এএসআই) মো. আবদুর রহিম সঙ্গীয় ফোর্স নিয়ে ৫-৭ মিনিটের মধ্যে ঘটনাস্থলে পৌঁছে।

এসময় পুলিশের উপস্থিতি টের পেয়ে ডাকাতদল পালিয়ে যায়। তবে প্রবাসী সহিদের স্ত্রী ও তাঁর মায়ের গলায় থাকা ২টি স্বর্ণের চেইন, কানের দুল, নগদ ১০ হাজার টাকা, ৩টি মোবাইল সেট ও ২টি টর্চ লাইট নিয়ে যায়।

এদিকে, উপজেলার মক্রবপুর ইউপির সাহেদাপুর গ্রামের প্রবাসী ইউছুপ হোসেন লিটনের বাড়ীতে রাত ২টার দিকে ১০-১৫ জনের একদল মুখোশধারী ডাকাতদল তার পরিবারের সদস্যদের অস্ত্রেরের মুখে জিম্মি করে স্বর্ণ ৪ ভরি, ২টি মোবাইল, নগদ ১০ হাজার ৪শ টাকা ও মূল্যবান জিনিসপত্র লুট করে নিয়ে যায়।

প্রবাসী লিটনের ফুফু আইনজুবের নেছা (৮০) জানান, তাঁর গলাটিপে ধরে বেদম মারধর কওে ডাকাতরা। একপর্যায়ে সে মাটিতে লুটে পড়ে যায়।

মৌকারা ইউপি আ.লীগের আহবায়ক এমএ আব্দুল মতিন ও নাঙ্গলকোট থানার সহকারী উপপরিদর্শক (এএসআই) মো. আবদুর রহিম বলেন, ডাকাতের হানার সাথে সাথে ঘটনাস্থওে পুলিশ উপস্থিত হওয়ার ফলে এবং গ্রামের মসজিদের মাইকে ডাকাত আসার কথা ঘোষনা করায় দ্রুত ডাকাতদল সটকে পড়ে। তবে ঘন কুয়াশার কারনে ডাকাতদেও ধরা সম্ভব হয়নি।

এ বিষয়ে নাঙ্গলকোট থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ আইয়ুব জানান, খবর পেয়ে তাৎক্ষনিক ঘটনাস্থলে পুলিশের উপস্থিতির কারনে ডাকাতরা পালিয়ে যায়। ফলে বাসরলঙ্কা গ্রামে ডাকাতি সংঘটিত হতে পারে নাই। এ ছাড়া সাহেদাপুর গ্রামে ডাকাতির ঘটনার বিষয়টি জেনেছি ঘটনাস্থলে পুলিশ গিয়েছে। বিষয়টি খতিয়ে দেখা হচ্ছে।