প্রথমবারের মতো জাতিসংঘ শান্তিরক্ষা মিশনে নারী বৈমানিক

প্রথমবারের মতো জাতিসংঘ শান্তিরক্ষা মিশনে নারী বৈমানিক

নারী বৈমানিক ফ্লাইট লেফটেন্যান্ট নাইমা হক (বায়ে) ও ফ্লাইট লেফটেন্যান্ট তামান্না-ই-লুতফী। 

বাংলাদেশের ইতিহাসে প্রথমবারের মতো জাতিসংঘ শান্তিরক্ষা মিশনে যোগ দিতে কঙ্গো যাচ্ছেন বিমানবাহিনীর দুই নারী বৈমানিক ফ্লাইট লেফটেন্যান্ট নাইমা হক ও ফ্লাইট লেফটেন্যান্ট তামান্না-ই-লুতফী। ২০১৪ সালের ১৭ ডিসেম্বর যশোরে বাংলাদেশ বিমানবাহিনীর ঘাঁটি বীরশ্রেষ্ঠ মতিউর রহমানে সলো টেস্টের সফলতার মাধ্যমে সামরিক পাইলট হিসেবে স্বীকৃতি পান তাঁরা। দুই বৈমানিকসহ বিমানবাহিনীর ৩৫৮ শান্তিরক্ষী আফ্রিকা মহাদেশের দেশটিতে যাচ্ছেন।

আজ রোববার আন্তঃবাহিনী পরিদপ্তরের (আইএসপিআর) এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে  জানানো হয়, এঁদের মধ্যে ১১৫ সদস্য প্রথম কঙ্গোর উদ্দেশে ঢাকা ছাড়বে ২৯ নভেম্বর। অন্যরা পর্যায়ক্রমে যাবেন। বিমানবাহিনীর ঘাঁটি বাশারে সোমবার কঙ্গোগামী ব্যান এয়ার সদস্যদের উদ্দেশে বক্তব্য দেন বিমানবাহিনী প্রধান এয়ার চিফ মার্শাল আবু এসরার। এ সময় জাতিসংঘ শান্তিরক্ষা মিশনে তাঁদের সততা, পেশাদারি ও আন্তরিকতার সঙ্গে অর্পিত দায়িত্ব পালন করে বাংলাদেশ বিমানবাহিনী তথা দেশের জন্য সুনাম বয়ে আনার আহ্বান জানান। বিমানবাহিনী প্রধান একটি সুশৃঙ্খল ও সুশিক্ষিত বাহিনীর সদস্য হিসেবে কঙ্গোগামী বিএএফ সদস্যদের জাতিসংঘ ও বিমানবাহিনীর সব নিয়মনীতির প্রতি শ্রদ্ধাশীল থাকার আহ্বান জানান।