ওষুধ নিতে গিয়ে যেসব ভুল আপনি করছেন

ওষুধ নিতে গিয়ে যেসব ভুল আপনি করছেন

অসুখে-বিসুখে প্রায়ই আমাদের নানান রকমের ওষুধ নিতে হয় । কখনো পেইন কিলার তো কখনো চোখের ড্রপ। কিন্তু এসব ব্যবহারের ক্ষেত্রে টুকটাক ভুল করি আমরা প্রায় সকলেই। আর তাতেই ঠিকঠাক ফলাফল পেতে বেশ খানিকটা বিলম্ব হয়। জেনে নিন কি কি ভুল করছেন আপনি? এসব ছোট ছোট ভুল করে জীবন ও মৃত্যুর মধ্যে বেশ খানিকটা গোল পাকিয়ে ফেলছেন। 

চোখের ড্রপ ব্যাবহারের পর চোখ খোলা রাখা: 

ডাক্তারদের মতে এটি হচ্ছে সবচেয়ে বড় ভুল। তাই বলে চোখের ড্রপটাকে গলায় পৌঁছাতে দেওয়া যাবে না। ড্রপ দেওয়ার পর চোখটা বন্ধ করে চোখের কোণগুলোতে হালকা চাপ দিতে হবে ২ মিনিট অব্দি। এতে করে চোখ শুষে নেবে ওষুধ। কিন্তু আপনি যদি ড্রপ দেওয়ার পর সেটার স্বাদ অনুভব করতে পারেন তার মানে ড্রপ গলায় চলে গেছে। এর ফলে অনেকের শ্বাসকষ্ট, দুর্বলতার সমস্যা দেখা দেয়।

ইবুপ্রোফেনের সঙ্গে খাবার খাওয়া:

পেইনকিলার নিতে হলে সেটা খাবারের সঙ্গে খেতে হয়। তা না হলে ওষুধের কার্যক্ষমতা যেমন কমে তেমনই লিভার নষ্ট হওয়ার সম্ভাবনা থাকে। তাই বলে হালকা জ্বর, সর্দি বা মাথাব্যাথার ওষুধ খেতে খাবার খেতে হবে না। এতে ওষুধের ফলাফল পেতে আরো ৪৫ মিনিট দেরি হবে। সেটা নিশ্চয়ই চান না। যদি খালি পেটে খান ইবুপ্রোফেন তাহলে কাজ শুরু হবে ১৫ মিনিটেই।

ন্যাজাল স্প্রে ব্যবহারের পর হাঁচি দেওয়া:

নাকের স্প্রে ব্যবহারের পর সেটা একেবারে গলার পেছনে চলে যায়, পরে আপনি গিলে ফেলে শেষ করেন এই কাজ। তবে এটা খুবই ভুল পদ্ধতি। এই কারণেই ড্রপটি ঠিকঠাক কাজ করতে পারছে না। বই পড়তে আপনি মুখ যতটা নিচু করেন, ঠিক সেই অবস্থানে এনে নাকে স্প্রে করুন। আর এরপর স্বাভাবিকভাবেই শ্বাস নিন। ভুলেও যেন হাঁচি দিবেন না।

 

ব্যাথা নিরামক জেল ত্বকে না ঘষা:

অনেকেই ব্যাথা থেকে রেহাই পেতে ব্যাথা নিরামক জেল লাগান। কপালে, কোমরে বা হাঁটুতে ব্যাথার কাজে এসব বেশ কার্যককর। তবে অনেকে সেটা কেবল লাগিয়েই রাখেন। আসলে কিছুক্ষণ ঘষলে আরো ভালো ফল মেলে এসব জেল থেকে। এতে ওই অংশ রক্ত চলাচল বাড়ে। ফলে নিস্তারও মেলে সহজে।

দ্রুত ইনহেলার পাফ করা:

অ্যাজমার জন্য অনেকে ইনহেলার নিলেও প্রতি তিনজনে একজন এটি ভুলভাবে পাফ করে। খুব দ্রুত তারা ইনহেলার পাফ করে এবং এরপর দ্রুত শ্বাস নেয়। এতে ইনহেলারের বেশিরভাগটাই গলায় চলে যায়, লাঙসে খুবই কম যায়। তাই কাজও কম হয়। তাই পাঁচ সেকেন্ডের জন্য শ্বাস নিন। এই সময়েই ইনহেলার নিন। এরপর শ্বাস দশ সেকেন্ড বন্ধ করে রাখুন। একটি পাফ নেওয়ার অন্তত ৩০ সেকেন্ড পর আর একটি পাফ নিন। 

ঘুমাতে যাওয়ার আগে কানের ড্রপ ব্যবহার:

এই ভুলটি মোটেও করবেন না। কানে ড্রপ দিয়ে মিনিট দুয়েক মাথা কাৎ করে রাখুন। তাহলে ড্রপ বের হয়ে আসবে না।