বিশ্ব যক্ষ্মা দিবস আজ

বিশ্ব যক্ষ্মা দিবস আজ

আজ শনিবার বিশ্ব যক্ষ্মা দিবস। বিশ্বের অন্যান্য দেশের সঙ্গে বাংলাদেশেও দিবসটি পালন করা হয়। দিবসটির এবারের প্রতিপাদ্য, ‘নেতৃত্ব চাই যক্ষ্মা নির্মূলে, ইতিহাস গড়ি সবাই মিলে’।

বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা বলছে, বাংলাদেশে বছরে ৬৬ হাজার মানুষ যক্ষ্মায় মারা যাচ্ছে। অর্থাৎ দিনে ১৮০ জনের মৃত্যু হচ্ছে যক্ষ্মায়। যক্ষ্মায় আক্রান্ত ৩৩ শতাংশ রোগী এখনো চিকিৎসার বাইরে। দেশে যক্ষ্মা শনাক্তকরণ আধুনিক যন্ত্রের স্বল্পতা আছে।

বৃহস্পতিবার জাতীয় প্রেসক্লাবে সংবাদ সম্মেলনে সরকারি কর্মকর্তারা এ তথ্য দিয়েছেন। স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের জাতীয় যক্ষ্মা নিয়ন্ত্রণ কর্মসূচি ও ব্র্যাক যৌথভাবে এই সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করে। সংবাদ সম্মেলনে সরকারি কর্মকর্তারা বলেন, দেশে রোগী শনাক্তকরণের ক্ষেত্রে সমস্যা থাকলেও ফুসফুসের যক্ষ্মায় আক্রান্ত রোগীর চিকিৎসায় সাফল্য ৯৫ শতাংশ। বিশ্ব যক্ষ্মা দিবস উপলক্ষে এই সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করা হয়।

সংবাদ সম্মেলনে বৈশ্বিক ও দেশের যক্ষ্মা পরিস্থিতি তুলে ধরেন জাতীয় যক্ষ্মা নিয়ন্ত্রণ কর্মসূচির চিকিৎসা কর্মকর্তা নাজিস আরেফিন। তিনি বলেন, দেশে যক্ষ্মা এখনো জনস্বাস্থ্য সমস্যা হিসেবে আছে। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার সর্বশেষ বৈশ্বিক যক্ষ্মা প্রতিবেদনের তথ্য উদ্ধৃত করে তিনি বলেন, ২০১৬ সালে বাংলাদেশে যক্ষ্মায় ৬৬ হাজার মানুষের মৃত্যু হয়। আর ৩ লাখ ৬০ হাজার মানুষ নতুন করে যক্ষ্মার জীবাণুতে আক্রান্ত হয়। আর ওষুধ প্রতিরোধী যক্ষ্মায় (এমডিআর টিবি) আক্রান্তের সংখ্যা ছিল ৫ হাজার ৩০০। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা যক্ষ্মার প্রকোপ এবং ওষুধ প্রতিরোধী যক্ষ্মার প্রকোপ বেশি এমন দেশের তালিকা তৈরি করেছে। দুটি তালিকাতেই বাংলাদেশের নাম আছে।

সংবাদ সম্মেলনের শুরুতে বলা হয়, যক্ষ্মা নির্ণয়, সব ধরনের পরীক্ষা-নিরীক্ষা ও ওষুধ বিনা মূল্যে দেওয়া হয়। ব্র্যাকসহ ২৬টি এনজিও যক্ষ্মা নিয়ন্ত্রণে সরকারকে সহায়তা করছে।