রুচিশীল পোশাকে সৌন্দর্য বাড়ে

রুচিশীল পোশাকে সৌন্দর্য বাড়ে

আধুনিক যুগে মেয়েরা অনেক বেশি সৌন্দর্য সচেতন। তবে ছেলেরাও কিন্তু কম যান না। এ যুগে ফ্যাশনের অন্যতম একটি অনুষঙ্গ হলো রুচিশীল পোশাক। এই পোশাক শুধু সৌন্দর্য বাড়াতেই ভূমিকা রাখে না, একইসঙ্গে আপনার ব্যক্তিত্বকেও প্রকাশ করে। আপনার গায়ের রং কালো কিংবা শ্যামলা হলেও সমস্যা নেই। বরং আপনি কোন ধরণের এবং কী রঙয়ের পোশাক নির্বাচন করেছেন সেটাই হলো বড় ব্যাপার। সঠিক পোশাক নির্বাচনে দেখবেন আপনাকে মোটেও দৃষ্টিকটু দেখাবে না।

অনেকের ধারণা, গায়ের রং ফর্সা হলে সব রঙের পোশাকই পরা যায়। তবে বাস্তবে ব্যাপারটি কিছুটা ভিন্ন। ব্যক্তিভেদে পোশাকের রং নির্বাচন করা উচিত। ফর্সা রঙের মেয়েদের গাঢ় রঙের চেয়ে হাল্কা রঙে বেশি মার্জিত লাগে।

ফর্সারও আবার নানা ধরন আছে। সাদা ফর্সা, গোলাপি ফর্সা, হলদে ফর্সা। সাদা ফর্সাদের হাল্কা রঙের পোশাকে বেশি ভাল লাগে। গাঢ় হাল্কার মিশ্রণেও ভাল মানায়। গোলাপি বা লালচে ফর্সাদের মাঝামাঝি গাঢ় রং কিংবা হাল্কা দুটোই মানায়। হলদে ফর্সাদের মোটামুটি সব রংই মানিয়ে যায়।

গায়ের রং একটু কালোর দিকে হলে অনেকেই পোশাকের রং নির্বাচনের ক্ষেত্রে অনেকেই ঝামেলায় পড়েন। হয়তো ভাবেন কোন রং-ই মানাচ্ছে না। আসলে ব্যাপারটা তা নয়। যে কোন রং-ই আপনিও পরতে পারেন, তবে পরার আগে আয়নায় পোশাকটি গায়ের ওপর ধরে একটু দেখে নিন, আপনাকে মানাচ্ছে কিনা। সাধারণত গায়ের রং কালো হলেও চেহারা আকর্ষণীয় আর একটু চিকন ধাঁচের হলে যে কোন পোশাকেই আকর্ষণীয় লাগে।

শ্যামলা রঙের মেয়েদের জন্য বাসন্তী, হলুদ, ডিমের কুসুম হলুদ, হাল্কা কমলা, মেরুন, সাদার সঙ্গে লালের কম্বিনেশন, হাল্কা সবুজ এই রংগুলো সহজেই মানিয়ে যায় আর উজ্জ্বল লাগে। তবে কালচে বেগুনী অর্থাৎ ঘন গাঢ় বেগুনী, নীল, গাঢ় ঘন কালচে সবুজ ইত্যাদি রং পরলে গায়ের রং আরও ডার্ক মনে হতে পারে।

যদি ডার্ক রঙের পোশাক পরতে চান তবে সাজ-সজ্জাটা একটু হাল্কা করুন, সেইসঙ্গে কম গয়না পরুন। ওড়না যদি রংচঙে হয়, তবে জামাটা হাল্কা রঙের নির্বাচন করুন। এভাবে নিজের মতো করে মিলিয়ে নিয়ে পরলে যে কোন রংইেআপনাকে মানিয়ে যাবে। তবে খুব চোখে লাগে এমন কোন রং নির্বাচন না করাই ভাল।

যেসব পোশাকে মোটা দেখায়

পোশাক এমন একটি উপকরণ যা যে কোন ব্যক্তিকে অনেক বেশি আকর্ষণীয় করে তুলতে পারে। তবে এর বিপরীতটিও মাঝে মাঝে দেখা যায়। একটি পোশাক একজনকে অনেক ভালো দেখালেও সেই পোশাকটি আবার অন্যজনকে ভালো নাও দেখাতে পারে। সেজন্য পোশাক পরার সময়ে গায়ের গড়নের দিকে খেয়াল রাখুন। এক্ষেত্রে এমন কিছু পোশাকের কথা জেনে নিন যেগুলো পরলে মেয়েদের বেশ মোটা দেখায়।

আনারকলি

আনারকলি ড্রেসটি অনেক ঘেরওয়ালা লং ফ্রকের মত। কোমরে হালকা কুচি দিয়ে নিচের অংশটুকু বেশ ছড়ানো থাকে। ফলে এই পোশাকটি পরলে মেয়েদের অনেক বেশি মোটা দেখায়।

পালাজো

নতুন এই পোশাকটি আগেকার ডিভাইডার পায়জামার মতই। শুধু ডিভাইডারে পায়ের কাছে ফাড়া ছিল আর এই পালাজোতে কোনো ফাড়া নাই। তবে এই পালাজো পায়জামাটি অনেক বেশি ছড়ানো হয়ে থাকে। এর ফলে একটু স্বাস্থ্য ভালো মেয়েদের আরও অনেক বেশি মোটা দেখায়।

ঢিলেঢালা জামা

ঢিলেঢালা জামা গায়ের সঙ্গে ফিটিং হয়ে থাকে না। এ কারণে মেয়েরা যতটা না মোটা তার চেয়ে অনেক বেশি মোটা দেখায় এই ধরনের পোশাক।

লং স্কার্ট

স্কার্ট পোশাকটি ওয়েস্টার্ন একটি পোশাক। ওয়েস্টার্ন মেয়েরা এমনিতেই একটু পাতলা গড়নের হয়ে থাকে। এজন্য লং স্কার্ট ছড়ানো হয়ে থাকে যার ফলে তাদের স্বাস্থ্য কিছুটা ভালো দেখায়। কিন্তু এশিয়ান মেয়েদের গায়ের গড়ন এমনিতেই একটু ভাল হয়ে থাকে। এক্ষেত্রে ওয়েস্টার্ন ছড়ানো এই পোশাকটি পরলে তাদের আরও বেশি মোটা দেখায়। কেননা স্কার্টে অনেক কাপড় দিয়ে ঘের দেয়া থাকে যা মেয়েদের মোটা দেখাতে সহায়তা করে।

স্কিন টাইট জিন্স

ঢিলেঢালা পোশাক যেমন মেয়েদের অনেক বেশি মোটা দেখায় তেমনি স্কিন টাইট জিন্স পরলেও বেশ খানিকটা মোটা দেখায়। কেননা এই পোশাকটি গায়ের সঙ্গে বাজেভাবে জড়িয়ে থাকে। ফলে শরীরের চর্বিজাতীয় অংশ খুব সহজেই চোখে পড়ে। এ কারণে এই ধরনের পোশাকে মেয়েদের বেশি মোটা দেখায় এবং দেখতেও বাজে লাগে।