ঢাবি শিক্ষক কর্তৃক সহকর্মীকে মারধর, বিচার দাবিতে ক্লাস বর্জন

ঢাবি শিক্ষক কর্তৃক সহকর্মীকে মারধর, বিচার দাবিতে ক্লাস বর্জন

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের তথ্যবিজ্ঞান ও গ্রন্থাগার ব্যবস্থাপনা বিভাগের চেয়ারম্যান ড. মেজবাহ-উল-ইসলামের বিচারের দাবিতে অনির্দিষ্টকাল ক্লাস বর্জনের ডাক দিয়েছে শিক্ষার্থীরা। রোববার সকাল ১০টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের অপরাজেয় বাংলার পাদদেশে আয়োজিত মানববন্ধনে বিভাগের শিক্ষার্থীদের পক্ষ থেকে এ ঘোষণা দেওয়া হয়।

মঙ্গলবার সন্ধ্যা ৬টার দিকে বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ড. মো. আনোয়ারুল ইসলামকে নিজ কক্ষে মারধর করেন বিভাগীয় চেয়ারম্যান। এ ঘটনার প্রতিবাদে বিভাগের শিক্ষার্থীরা মানববন্ধনের আয়োজন করে।

মানববন্ধনে শিক্ষার্থীদের পক্ষ থেকে বলা হয়, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের মতো জায়গায় একজন শিক্ষক আরেকজন শিক্ষকের হাতে মারধরের শিকার হবেন এটা কল্পনাও করা যায় না। ব্যক্তিগত আক্রোশ ছেড়ে বিষয়টি এখন ফ্যাকাল্টি পর্যন্ত চলে গেছে। দেশের সর্বোচ্চ বিদ্যাপিঠের শিক্ষককে অপমান করা আর সারা দেশের শিক্ষক সমাজকে অপমান করার শামিল। এটা জাতির বিবেকের ওপর আঘাত। আমাদের বিভাগের চেয়ারম্যান মুহাম্মদ মেজবাহ-উল-ইসলাম বিভাগে একনায়কতন্ত্র কায়েম করতে চেয়েছেন। এতদিন আমাদের সাথে অনেক কিছু হয়েছে, আমরা কিছু বলিনি। কিন্তু বিভাগের জনপ্রিয় একজন শিক্ষকের সাথে এমন আচরণ আমরা মেনে নিবো না। ইতোমধ্যেই বিভাগের শিক্ষকরা ক্লাস নেয়া বন্ধ করে দিয়েছেন। আমরাও তাদের সাথে একাত্মতা পোষণ করে এ ঘটনার সুষ্ঠু বিচার না হওয়া পর্যন্ত ক্লাস বর্জন করবো। আনোয়ার স্যারকে বলতে চাই ‘উই আর সরি’।

মানববন্ধন শেষে চেয়ারম্যানের বিচার চেয়ে দুই দফা দাবিতে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. আখতারুজ্জামান বরাবর স্মারকলিপি দেওয়া হয়। দাবিগুলো হলো, বিভাগের সবরকম কর্মকাণ্ড থেকে চেয়ারম্যানকে সাময়িক অব্যাহতি এবং এ ঘটনার সুষ্ঠু বিচারের দাবিতে তদন্ত কমিটি গঠন।