কুকুরের মাংস বিক্রি হচ্ছে খাসির মাংস হিসেবে, বিক্রি হচ্ছে মৃত গরু

কুকুরের মাংস বিক্রি হচ্ছে খাসির মাংস হিসেবে, বিক্রি হচ্ছে মৃত গরু

সাভারে মরা গরুর গোস্ত বিক্রির সময় কালাম নামে এক কসাইয়ের সহকারী ও এক দলালকে হাতেনাতে আটক করেছে পুলিশ। শনিবার সকালে সাভার বাজার বাসস্ট্যান্ডে দিলখুশা মার্কেটের পাশের কাঁচা বাজারে (আব্দুল মজিদ কাঁচা বাজার) এ ঘটনা ঘটে। তবে গোস্ত বিক্রেতা কসাই রাজু পালিয়ে যায়। এই অভিযুক্ত কসাই রাজুর বিরুদ্ধে খাসীর গোস্তের সাথে কুকুরের গোস্ত বিক্রির অভিযোগ রয়েছে।

প্রত্যাক্ষদর্শীরা জানায়, বাজারের কসাই রাজু শনিবার সকালে গোপনে মরা গরুর গোস্ত কেটে বিক্রি শুরু করে। এতে ক্রেতাদের মাঝে সন্দেহ হলে বিষয়টি অস্বীকার করে কসাই। এ সময় এনটিভির সিনিয়র রিপোর্টার জাহিদুর রহমান বিষয়টি অনুসন্ধান করতে মাংস ক্রেতা হিসেবে উপস্থিত হন।

তিনি কসাই রাজুকে চ্যালেঞ্জ করার পর সে তড়িঘড়ি করে ত্রিশ হাজার টাকা বের করে দিয়ে বিষয়টি ধামাপাচা দিতে বলে। এ সময় উপস্থিত আর কারো বুঝতে বাকি থাকেনা যে এটা সত্যিই মরা গরুর গোস্ত।

পরে থানায় খবর দেওয়া হলে ঘটনাস্থলে পুলিশ এসে কসাইয়ের সহযোগী কালাম ও দালালীর অভিযোগে ফারুক হোসেন নামে আরেকজনকে আটক করে করে। এ সময় মরা গরুর গোস্ত জব্দ করে থানায় নিয়ে যায় পুলিশ। তবে কৌশলে ঘটনাস্থল থেকে পালিয়ে যায় কসাই রাজু।

এ ব্যাপারে সাভার মডেল থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) নাজমুল জানান, পলাতক কসাই রাজুকে গ্রেফতারে চেষ্টা চলছে। এ ঘটনায় থানায় মামলা দায়ের করা হয়েছে বলেও তিনি জানান।

এদিকে, নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক ওই বাজারের এক ব্যবসায়ী জানান, গোস্ত ব্যবসায়ী রাজু বিভিন্ন সময়ে খাসীর গোস্তের সাথে কুকুরের গোস্ত বিক্রি করে এমন অভিযোগ তিনি বহুবার শুনেছেন।

এছাড়া প্রায়ই মরা গরু ও অসুস্থ্য গরু-ছাগল কমদামে কিনে আনতে কসাই রাজু। এছাড়াও কাঁচা বাজারের প্রভাশালী মালিকদের সহযোগিতায় দীর্ঘদিন ধরেই এ কাজ করে আসছে ওই বাজারের আরো কয়েকজন গোস্ত ব্যবসায়ী। তাই মরা গরু বিক্রির সাথে জড়িত দুই জন আটক হওয়ার পর বিষয়টি জানাজনি হয়ে গেলে অভিযুক্ত কসাই রাজুকে বাচাঁতে সঙ্গে সঙ্গে ওই দোকানের সাইন বোর্ড খুলে নেয় মালিক পক্ষ।