গভীর রহস্যের নতুন সৌরজগৎ

গভীর রহস্যের নতুন সৌরজগৎ

আমাদের সৌরমণ্ডলের মতো আরও একটি সৌরমণ্ডল রয়েছে এই ব্রহ্মাণ্ডে। সেখানেও রয়েছে ৮টি গ্রহ। গত বৃহস্পতিবার এ ঘোষণা দিয়েছে সৌরমণ্ডল নিয়ে গবেষণায় থাকা নাসা।

নাসার সদর দফতরে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে বলা হয়েছে, যে সৌরমণ্ডলটির সন্ধান পাওয়া গেছে, সেটির গঠন পৃথিবীর মতোই। বুধ থেকে নেপচুন মিলিয়ে যেভাবে গ্রহগুলো সাজানো রয়েছে, ঠিক তেমনই গঠনতন্ত্র নয়া আবিষ্কৃত সৌরমণ্ডলের। যেহেতু এই সৌরমণ্ডলের চেহারা অবিকল পৃথিবীর মতোই, সেহেতু সেখানকার ৮টি গ্রহ সাজানো হয়েছে আমাদের সৌরমণ্ডলের মতোই। তাই সে মুল্লুকে প্রাণের হদিস পাওয়ারও সম্ভাবনা প্রবল। উল্লেখ্য, ভিনগ্রহে প্রাণের সন্ধান পেতে ২০০৯ সালে প্রথম মহাকাশে কেপলার স্পেস টেলিস্কোপ পাঠিয়েছিল নাসা। সেই টেলিস্কোপ চার বছরে পৃথিবীর অনুরূপ বসবাসের অনুকূল প্রায় আড়াই হাজার ভিনগ্রহের সন্ধান পায়। তার আগেও প্রচুর ভিনগ্রহ আবিষ্কার হয়েছে।

সব মিলিয়ে নাসার নজরে থাকা ভিনগ্রহের সংখ্যা প্রায় হাজার চারেক। কিন্তু এত দিন কোনো ভিনগ্রহের নক্ষত্রমণ্ডলেই আমাদের সৌরমণ্ডলের মতো ৮টি গ্রহের সন্ধান মেলেনি। এই আবিষ্কারটি সম্ভব হয়েছে গুগলের মেশিন লার্নিং পদ্ধতির সাহায্যে। যার নেতৃত্বে রয়েছেন গুগলের সিনিয়র সফটওয়্যার ইঞ্জিনিয়ার ক্রিস্টোফার শ্যালু, টেক্সাস বিশ্ববিদ্যালয়ের সাগান পোস্ট ডক্টরাল ফেলো অ্যান্ড্রু ভ্যানডারবার্গ।

নাসার অ্যাস্ট্রোফিজিক্স ডিভিশনের জ্যোতির্বিজ্ঞানী পল হারতজ বলেছেন, ‘আমাদের সৌরমণ্ডলের চেহারার মতোই এই সৌরমণ্ডলে সাতটি গ্রহের সন্ধান আগেই মিলেছিল। এবার পাওয়া গেল অষ্টম গ্রহের সন্ধান। যার নাম ‘কেপলার-৯০-আই’। একই সঙ্গে তিনি আরও বলেন, ‘অষ্টম এই গ্রহটি দেখতে পুরোপুরি পৃথিবীর মতো। একই সঙ্গে পাথুরেও। ১৪.৪ দিনে ওই গ্রহটি তার নক্ষত্রকে প্রদক্ষিণ করে। তবে সেটি তার নক্ষত্রের (কেপলার-৯০) বেশি কাছে আছে বলে বেশি তাপে পুড়ে যাচ্ছে। ’ ওই গ্রহের তাপমাত্রা কমপক্ষে ৮০০ ডিগ্রি সেলসিয়াস।