আজকে, ১৫২ বছর পর বিরল ঘটনার সাক্ষী হতে চলেছে বিশ্ববাসী

আজকে, ১৫২ বছর পর বিরল ঘটনার সাক্ষী হতে চলেছে বিশ্ববাসী

সর্বশেষ এমন ঘটনা ঘটেছিল ১৮৬৬ সালে। দীর্ঘ ১৫২ বছর পর বিরল এই ঘটনাটির আবারও সাক্ষী হতে চলেছেন বিশ্ববাসী। পৃথিবীর আকাশে একই রাতে দেখা যাবে চাঁদের তিনটি রূপ। ঘটনাটি উপভোগ করতে পারবেন বাংলাদেশের মানুষও।

 

যুক্তরাষ্ট্রের মহাকাশ গবেষণা সংস্থা নাসা জানায়, আগামীকাল বুধবার রাতে দেখা যাবে পূর্ণ চন্দ্রগ্রহণ। এ সময় ‘ব্লাড মুন’ (রক্ত চাঁদ), ‘ব্লু মুন’ ও ‘সুপার মুন’ নামের তিন রূপে দেখা যাবে চাঁদ। মহাকাশ গবেষকরা ঘটনাটির নাম দিয়েছেন ‘সুপার ব্লাড ব্লু মুন এক্লিপস’। উত্তর আমেরিকা, এশিয়া, মধ্যপ্রাচ্য, রাশিয়া, অস্ট্রেলিয়াসহ বিশ্বের বিভিন্ন অঞ্চল থেকে দেখা যাবে এ অত্যাশ্চর্য দৃশ্য।

 

চন্দ্রগ্রহণ বাংলাদেশের সময় বিকাল ৪টা ৫১ মিনিটে শুরু হয়ে চলবে রাত ১০টা ৮ মিনিট পর্যন্ত। তবে ভালোভাবে তা উপভোগের জন্য দেশবাসীকে অপেক্ষা করতে হবে অন্ধকার নামা পর্যন্ত।

 

চাঁদের এই বিরল অবস্থা সবচেয়ে ভালোভাবে উপভোগ করতে পারবেন অস্ট্রেলিয়া, পূর্ব এশিয়া ও পূর্ব রাশিয়ার মানুষেরা। বাংলাদেশ থেকে ঘটনাটি দেখা যাবে চন্দ্রোদয়ের সময়। আর উত্তর আমেরিকাবাসী তা দেখতে পাবেন চন্দ্রোস্তের সময়। তবে এই বিরল ঘটনা থেকে বঞ্চিত থাকবেন আফ্রিকা ও দক্ষিণ আমেরিকার বাসিন্দারা।

 

মহাকাশ গবেষকরা জানিয়েছেন, ‘ব্লাড মুন’ খুবই বিরল ঘটনা। পূর্ণ চন্দ্রগ্রহণের পরে সাধারণত ঘটনাটি দেখা যায়। এ সময় চাঁদ লালচে-বাদামি রঙ ধারণ করে। একেই বলা হয় ‘ব্লাড মুন’।

 

তবে ‘ব্লু মুন’ মানে কিন্তু ‘নীল চাঁদ’ নয়। একই মাসের মধ্যে দুবার পূর্ণিমা হলে তাকেই বলা হয় ‘ব্লু মুন’। আর চাঁদ পৃথিবীর কাছাকাছি চলে আসলে সাধারণ আকৃতির চেয়ে বড় দেখা যায়। চাঁদের এই অবস্থাকে বলা হয় ‘সুপার মুন’। একারণে ‘ব্লাড মুন’ অবস্থার শেষ হলে চাঁদকে একটুই বেশিই উজ্জ্বল দেখা যাবে।